করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কে আছে বিশ্ববাসী। নানা দেশের অনেক লোক হচ্ছে সংক্রামিত। কিন্তু দেখা গেছে সবার দেহে সমান প্রতিক্রিয়া করে না করোনাভাইরাস। এমন লোকও আছেন যাদের দেহে করোনাভাইরাস সংক্রমণের কোন লক্ষণই দেখা যায় না। কেনো এরকম হচ্ছে? কি এর রহস্য? এ নিয়ে গবেষণা করছে বিজ্ঞানীরা।
আর এই কারণ বের করতে লক্ষ লক্ষ মানুষের ডিএনএ-র এর ভান্ডার ব্যবহার করছেন বিজ্ঞানীরা। ব্যবহার করছেন ইউকে বায়োব্যাংক। এই ব্যাংকে আছে ৫ লক্ষ স্বেচ্ছাসেবকের রক্ত, থুথু এবং প্রস্রাবের নমুনা এবং স্বাস্থ্য সম্পর্কিত এক দশকব্যাপি সময়ের তথ্য। এতে এখন যোগ হচ্ছে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত উপাত্ত। এই তথ্যভাণ্ডারে ঢুকতে পারেন পৃথিবীর নানা দেশের ১৫ হাজারেরও বেশি বিজ্ঞানী।
গবেষকরা এই তথ্য থেকে একেকজনের পুরো জিনোমটাই তন্ন তন্ন করে পরীক্ষা করবেন – দেখবেন ডিএনএ-র মধ্যে কোথায় কোথায় অতি ক্ষুদ্র সব পার্থক্য আছে।
বিশেষ করে তারা পরীক্ষা করে দেখবেন এসিই-টু নামে একটি জিনকে – যা একধরণের রিসেপটর তৈরিতে সহায়তা করে– যার মাধ্যমে করোনাভাইরাস শ্বাসতন্ত্রে ঢুকে সেখানকার কোষগুলোকে সংক্রমিত করতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কের রকেফেলার বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জঁ-লরেন্ট কাসানোভা বলেন, অতীত গবেষণায় দেখা গেছে, কিছু লোকের ক্ষেত্রে – যাদের ইমিউনিটির জন্মগত কোন ত্রুটি আছে- তাদের ফ্লু বা হারপিসের মত কিছু রোগ হলে তা গুরুতর চেহারা নিতে পারে। আমরা এটাই দেখছি যে কোভিডের ক্ষেত্রে এমন কিছু ঘটে কিনা।“
আইসল্যান্ডের ডিকোড জেনেটিক্স-এর প্রধান নির্বাহী ড. কার্ল স্টেফানসন বলছেন, “এমন হতে পারে মানুষের দেহে ভিন্ন ধরণের প্রতিক্রিয়ার কারণ হচ্ছে আমাদের মধ্যে ভিন্ন ভিন্ন স্ট্রেইনের ভাইরাস রয়েছে। কোনোটা হয়তো অন্যগুলোর চেয়ে বেশি মারাত্মক।“
“আরেকটা কারণ হতে পারে যে রোগীর জেনেটিক বৈশিষ্ট্যর মধ্যেই আছে এর চাবিকাঠি। অথবা হয়তো দুটো কারণই এক সাথে কাজ করছে – এমনও হতে পারে।
সূত্র: বিবিসি বাংলা
Leave a reply