সৌদি আরবের রাজকন্যা বাসমাহ বিনতে সৌদ বিন আবদুল আজিজ আল সৌদ দাবি করেছেন, কোনো অভিযোগ ছাড়াই তাকে কারাবন্দী করে রাখা হয়েছে। সম্প্রতি এক টুইটে তিনি এ কথা জানিয়ে তার মুক্তির জন্য আবেদন জানান।
দ্যা গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে রাজকন্যা বাসমাহ’র বরাতে বলা হয়েছে, তিনি বন্দী অবস্থায় কারাগারে আছেন। তিনি বর্তমান বাদশাহ ও যুবরাজের কাছে তাকে মুক্তি দিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি অভিযোগ করেন, কোনো ধরনের অভিযোগ ছাড়া তাকে তার এক মেয়ে সহ রিয়াদে আটকে রাখা হয়েছে। বারবার আবেদন জানানোর পরও কেন তাকে বন্দী রাখা হয়েছে, এর কোনো ব্যাখ্যা দেয়নি রাজকীয় আদালত, বাদশাহ সালমান কিংবা যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান।
রাজকন্যা বাসমাহ সৌদি আরবের বর্তমান ব্যবস্থার সংস্কারের দাবিতে সবসময়ই সোচ্চার। নারী অধিকার ও মানবাধিকারের দাবিতে সোচ্চার এই রাজকন্যা খুবই অল্প সময় গণমাধ্যমে কাজ করেছেন। তিনি কয়েক বছর লন্ডনে ছিলেন। পরে তিনি ব্যবসায় মন দেন। রাজকন্যা বাসমাহ ২০১৫ সালের শেষের দিকে সৌদি আরবে ফিরে আসেন। সেই থেকে তিনি ইয়েমেনে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটের আগ্রাসী ভূমিকার কড়া সমালোচক। সৌদি আরবে ব্যাপক সংস্কারের দাবিতেও সোচ্চার ছিলেন তিনি।
এদিকে মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ মনে করে, রাজকন্যা বাসমাহের কারাবন্দিত্বের পেছনে প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের হাত আছে। কারণ, এই বিষয়ে তিনি চুপ আছেন।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচের নারী অধিকার বিষয়ক জ্যেষ্ঠ গবেষক রোথনা বেগম বলেন, সৌদি আরবে অনেক নারীকে যে নিভৃতে বন্দী রাখা হয়েছে, এটা তার প্রমাণ। প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের জামানায় কারো যে কথা বলার অধিকার নেই, তা স্পষ্ট।
Leave a reply