প্রভু দেবাকে বলা হয় ‘ভারতের মাইকেল জ্যাকসন’। নৃত্যশিল্পীর পাশাপাশি প্রভু দেবা কোরিয়োগ্রাফার এবং ছবির পরিচালকও। তার নাচের ভঙ্গি মসৃণ হলেও ব্যক্তিগত জীবন যথেষ্ট বন্ধুর। বান্ধবীর জন্য ছেড়ে গিয়েছিলেন স্ত্রী সন্তানকে। পরে বান্ধবীর সঙ্গে প্রেমও দীর্ঘস্থায়ী হয় নি।
ক্যারিয়ারের শুরুতেই ১৯৯৫ সালে বিয়ে করেন প্রভু দেবা। তার স্ত্রীর নাম লতা। তিনিও নৃত্যশিল্পী ছিলেন। তিন সন্তানকে নিয়ে তাদের ভরপুর সংসারে ফাটল ধরে অন্য নারীর আগমনে।
তামিল ও তেলুগু ছবির নায়িকা নয়নতারার সঙ্গে অন্তরঙ্গ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন প্রভু দেবা। কিন্তু প্রথম দিকে তিনি বা নয়নতারা দুজনের কেউ এই সম্পর্কের কথা স্বীকার করেন নি, আবার অস্বীকারও করেন নি।
লতার অভিযোগ, বিবাহিত অবস্থাতেই প্রেমিকা নয়নতারার সঙ্গে লিভ ইন করতেন প্রভু দেবা। এদিকে সম্পর্কের টানাপড়েনের মধ্যে ২০০৮ সালে ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান তাদের বড় ছেলে বিশাল। এই সময়ও তিনি ঘরে ফেরেন নি। প্রভু দেবাকে ফিরিয়ে আনার জন্য বহু চেষ্টা করেছেন লতা। কিন্তু সে চেষ্টা ব্যর্থ হয়।
ছেলের মৃত্যু, স্ত্রীর অনুরোধ-হুমকি, কোনও কিছুতেই টলানো যায়নি প্রভু দেবাকে। তিনি নিজের প্রেমের প্রতি অবিচল ছিলেন। ২০১০ সালে প্রভু দেবা সংবাদমাধ্যমে জানান, তিনি নয়নতারাকে ভালবাসেন, বিয়ে করতে চান। এরপর ২০১১ সালে লতার সাথে প্রভু দেবার বিবাহবিচ্ছেদ হয়।
কিন্তু নয়নতারার সঙ্গে নতুন সংসারও অধরাই থেকে গেল প্রভু দেবার। ২০১২ সালে প্রভু দেবা এবং নয়নতারা এক বিবৃতিতে জানান, তাঁরা সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে এসেছেন।
Leave a reply