হঠাৎ করোনার ওষুধ হিসেবে জনপ্রিয়তা পাওয়া ‘রেমডেসিভির’ ক্লিনিক্যাল পরীক্ষায় ব্যর্থ হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ওয়েবসাইটে ভুলবশত প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়। কিছুক্ষণ পর প্রতিবেদনটি সরিয়ে নেয়া হয়। এ খবর দিয়েছে পলিটিকো।
তবে রেমডেসিভির প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান গিলিয়াড দাবি করেছে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নথিতে গবেষণাটিকে সঠিকভাবে তুলে ধরা হয়নি। অল্প সংখ্যক রোগীর অংশগ্রহণের কারণে গবেষণাটি আগেভাগে শেষ করে ফেলায় এমনটা হয়ে থাকতে পারে বলে জানান প্রতিষ্ঠানটির এক মুখপাত্র সোনিয়া চই।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সম্প্রতি করোনার সম্ভাব্য প্রতিষেধক হিসেবে জনপ্রিয়তা পেয়েছেন রেমডেসিভির। গত সপ্তাহে প্রকাশিত এক ক্লিনিক্যাল পরীক্ষায় এটি কার্যকর হওয়ার দাবি করা হয়। এরপর করোনার চিকিৎসায় ওষুধটির প্রশংসা করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পও। তবে বৃহস্পতিবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার খসড়া প্রতিবেদনে বলা হয়, চীনে এক ক্লিনিক্যাল পরীক্ষায় ওষুধটি রোগীদের সুস্থ করতে অকার্যকর ছিল। এমনকি ওষুধটি প্রয়োগের পর অনেক রোগীর মধ্যে ওষুধটি প্রয়োগের ফলে নানা পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়াও দেখা গেছে।
ফাঁস হওয়া প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীনে ২৩৭ জন রোগীর উপরে ওষুধটির পরীক্ষা চালানো হয়। এর মধ্যে ১৫৮ জনকে রেমডেসিভির দেয়া হয়, বাকি ৭৯ জনকে কোনো ওষুধ খাওয়ানো হয়নি। দেখা গেছে, রেমডেসিভির যারা খেয়েছিলেন তাদের শারীরিক অবস্থার বিশেষ উন্নতি হয়নি।
Leave a reply