গর্ভবতী মায়েরা রোজা রাখতে পারবেন কিনা তা নিয়ে চিন্তিত থাকেন অনেকেই। বিশেষ করে আপনজনেরা দুশ্চিন্তায় থাকেন গর্ভবতী মা এবং তার অনাগত সন্তানের সুস্থতা নিয়ে। গর্ভকালীন সময়ে রোজা রাখতে পারবেন কিনা, রাখলে করণীয় কী এসব বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছেন গাইনি বিশেষজ্ঞরা।
তাদের মতে, গর্ভবস্থায় মায়েরা রোজা রাখতে পারবেন। তবে যেসব মায়েরা শরীরিক জটিলতায় ভুগছেন তাদের ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া রোজা না রাখাটাই উত্তম। বিশেষ করে গর্ভবতী মায়ের ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, কিডনির সমস্যা, প্রস্রাবের ইনফেকশন থাকলে রোজা না রাখাই ভালো।
অবশ্য, রোজার সময় গর্ভবতী মা গর্ভাবস্থার ঠিক কোন ধাপে আছেন সেটির ওপরও নির্ভর করছে অনেক কিছু। প্রথম তিন মাস রোজা রাখলে সমস্যা হতে পারে। কারণ এ সময় অতিরিক্ত বমি হয়ে থাকে। এছাড়া দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকলে গর্ভের সন্তানের নড়াচড়া কমে যায়।
রোজা রাখলে করণীয়
১. সেহরিতে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে। একবারে বেশি পানি পান করা যাবে না। শুধু পানি না খেয়ে লেবুর শরবত খাওয়া যেতে পারে। এতে সামান্য লবণ মিশিয়ে নিতে পারেন।
২. ইফতারে বিভিন্ন ধরনের তাজা ফলের রস, ডাবের পানি ও খেজুর খেতে পারেন। কলায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণ পটাশিয়াম যা দুর্বলতা দূর করতে সাহায্য করে। তাই খেতে পারেন কলাও।
৩. দুধ প্রোটিনের ভালো উৎস। সেহরিতেও দুধ খেতে পারেন।
৪. ইফতারে ভাজাপোড়া না খেয়ে পুষ্টিকর খাবার খাওয়াই ভালো।
৫. গর্ভাবস্থায় অনেকের ওষুধ খেতে হয়। দিনের বেলার ওষুধগুলো রাতে খেয়ে নিবেন। আর যেসব ওষুধ দুইবার খাবার নিয়ম আছে তা ইফতারের সময় একবার ও শেষরাতে আরেকবার খেয়ে নিন।
যেসব সমস্যা দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন
১. প্রস্রাবের পরিমাণ অস্বাভাবিকভাবে কমে গেলে, বমি হলে কিংবা অজ্ঞান হয়ে গেলে।
২. গর্ভাবস্থায় সন্তান ১২ ঘণ্টায় দশ থেকে বারো বার নড়াচড়া করে। নড়াচড়া কম অনুভব করলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
৩. ডিহাইড্রেশনের কারণে অনেক সময় ইউটেরাসের কনট্রাকশন শুরু হতে পারে। তাই লেবার পেইন বা পেটে ব্যথা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
Leave a reply