বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ধাক্কা ছিল সেটি- আচমকা সব ধরনের ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ হয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। এদেশের ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় বিজ্ঞাপন বলা হয় তাকে। গত ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে প্রমাণ করেছিলেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের খেতাব এমনি এমনি জুটেনি। ক্যালেন্ডারের পাতা ঘুরতে না ঘুরতে সেই সাকিবই কিনা নিষিদ্ধ! তাও আবার জুয়াড়ির কাছে পাওয়া প্রস্তাব গোপন করার অপরাধে! এর চেয়ে বড় ধাক্কা আর কী হতে পারে?
যে জুয়াড়ির কাছ থেকে ম্যাচ পাতানোর প্রস্তাব পেয়েছিলেন সাকিব, সেই দীপক আগারওয়ালও এবার নিষেধাজ্ঞা পেলেন। দু’বছরের জন্য ক্রিকেট সংশ্লিষ্ট সব কিছু থেকে তাকে নিষিদ্ধ করেছে ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি। অবশ্য, দীপকের এই সাজার সাথে সাকিবের কোনো সংযোগ নেই। আইসিসির তদন্তে বাধা দেওয়া আর দেরি করানোর অপরাধেই এমন দণ্ড পেলেন তিনি।
গত বছর শারজাতে হয়ে যাওয়া টি-১০ লিগে সিন্ধিস ফ্রাঞ্চাইজির মালিকদের একজন ছিলেন দীপক আগারওয়াল। বুধবার আইসিসি বিবৃতিতে জানিয়েছে, তাদের দুর্নীতি দমন ইউনিটের তদন্তে বেশ কয়েকবার বাধা দিয়েছেন দীপক, দেরি করিয়েছেন। তাই আইসিসির অনুচ্ছেদ ২.৪.৭-অনুযায়ী এ সাজা জুটেছে তার। ভারতীয় এই জুয়াড়ি অবশ্য নিজের বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ মেনে নিয়েছেন, যে কারণে আর কোনো শুনানিতে যেতে হয়নি।
দুই বছরের নিষেধাজ্ঞার মধ্যে ছয় মাস স্থগিত নিষেধাজ্ঞা থাকবে। আইসিসির বিবৃতিতে লেখা, সব শর্ত মেনে চললে ২০২১ সালের ২৭ অক্টোবর আবার ক্রিকেটে যুক্ত হতে পারবেন দীপক।
আইসিসির মহাব্যবস্থাপক অ্যালেক্স মার্শাল বলেছেন, মি. দীপক আগারওয়াল বেশ কয়েকবার আমাদের তদন্তে বাধা দিয়েছেন অথবা দেরি করিয়েছেন। এটা বিচ্ছিন্নভাবে একবার ঘটেনি। তবে আইসিসির দুর্নীতি দমন কোড ভাঙার অভিযোগ দ্রুতই মেনে নিয়েছেন তিনি, অভিযোগ ওঠা অন্যদের বিরুদ্ধে তদন্তে দুর্নীতি দমন ইউনিটকে সাহায্যও করে যাচ্ছেন।
Leave a reply