ক্রিপ্টো মুদ্রা নিষিদ্ধ করার উদ্যোগ নিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া। এ ঘোষণায় বিশ্ব বাজারে বিটকয়েনের দর কমেছে সাড়ে ১৩ শতাংশ বা প্রায় দুই হাজার ডলার, বিক্রি হচ্ছে প্রায় ১৩ হাজার ডলারে।
বৃহস্পতিবার দেশটির আইন মন্ত্রী পার্ক সাং-কি বলেন, “ক্রিপ্টো মুদ্রা বেশ মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ ধরনের মুদ্রাগুলো নিষিদ্ধে আইন মন্ত্রণালয় একটি বিল তৈরি করছে।”
মন্ত্রীর বক্তব্যের পর দেশটিতে বিটকয়েনের দর কমেছে ২১ শতাংশ। অপরাপর দেশের তুলনায় দক্ষিণ কোরিয়ায় ৩০ শতাংশ প্রিমিয়ামসহ প্রতিটি বিটকরেন বিক্রি হয়ে থাকে।
সম্প্রতি কর ফাঁকির উপায় হিসেবে বিট কয়েনের চাহিদা বহুগুণ বেড়ে যায় দক্ষিণ কোরিয়ায়। পরিস্থিতি সামাল দিতে ভার্চুয়াল মুদ্রা বিনিময়ের কোম্পানিগুলোতে পুলিশ এবং কর কর্তৃপক্ষ অভিযান চালায়।
কোরিয়া ব্লকচেইন ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশন জানায়, দেশটিতে এক ডজনেরও বেশি ক্রিপ্টো মুদ্রা বিনিময়ের কোম্পানি রয়েছে।
বিলটি তৈরি হলেও আইনে পরিণত হতে দেশটির ২৯৭ সদস্য বিশিষ্ট জাতীয় সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যদের সম্মতি প্রয়োজন। আর এ পুরো প্রক্রিয়ায় সময় লাগতে পারে বেশ কয়েক মাস, এমনকি কয়েক বছরও।
তবে আইনটি পাস হলেও দক্ষিণ কোরিয়ায় ক্রিপ্টো মুদ্রার কেনা-বেচা একেবারে বন্ধ হবে না বলে মনে করেন ইএসটি সিকিউরিটিজ’র প্রধান গবেষক মান চং-হায়ুন।
মান বলেন, “দক্ষিণ কোরিয়ায় ক্রিপ্টো মুদ্রাকে প্রচলিত মুদ্রায় রূপান্তর করা কঠিন হলেও চতুর ব্যবসায়ীরা এ কাজ বিদেশে করবে, বিশেষত হ্যাকাররা।”
এদিকে বৃহস্পতিবার বিকেল নাগাদ, ৫৫ হাজারেরও বেশি কোরীয় নাগরিক ক্রিপ্টো মুদ্রা বন্ধের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপতির বাস ভবন ব্লু হাউজের ওয়েব সাইটে পিটিশন দায়ের করে। অল্প সময়ের ব্যবধানে অধিক সংখ্যক মানুষ পিটিশন দায়ের করায় সরকারি সাইটটিতে ধস নামে।
দক্ষিণ কোরিয়ার গৃহীত উদ্যোগের ফলে বিটকয়েনের বাজারে অমন ওঠা-নামার একদিন আগেই বিলিওনিয়ার ও পুঁজিবাজারের অন্যতম সেরা বিনিয়োগকারী ওয়ারেন বাফেট বলেন, “তার কাছে একটি বিটকয়েনও নেই, এবং ক্রিপ্টো মুদ্রায় তিনি কখনোই বিনিয়োগ করবেন না।”
তিনি আরও বলেন, “ক্রিপ্টো মুদ্রার ক্ষেত্রে আমি প্রায় নিশ্চিতভাবে বলতে পারি, এর পরিণত খারাপ হবে।”
কিন্তু অনেকেই বাফেটের এই সন্দেহকে আমলে নিচ্ছেন না। বাজারে নতুন ক্রিপ্টো মুদ্রা ছেড়ে কোম্পানির মূল্যটা বাড়িয়ে নিচ্ছে কোডাক-এর মতো কোম্পানিও।
যমুনা অনলাইন: এফএইচ
Leave a reply