চীনের র্যাপিড করোনা টেস্ট কিট ত্রুটিপূর্ণ হওয়ায় বাতিলের ঘোষণা দেয় ভারত। পশ্চিমবঙ্গ সরকারসহ কয়েকটি রাজ্য কিটটি ত্রুটিপূর্ণ হওয়ায় তা ব্যবহারে অস্বীকৃতি জানায়। ফলে করোনা প্রতিরোধে নতুন পদ্ধতি গ্রহণ করছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য। ট্রু-ন্যাট পদ্ধতিতে কোভিড স্ক্রিনিং টেস্টের প্রস্তুতি শুরু করেছে স্বাস্থ্য দফতর।
বুধবার পশ্চিমবঙ্গের ১৫টি কেন্দ্রে মাইক্রোবায়োলজিস্ট এবং টেকনিক্যাল স্টাফদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।
অ্যান্টিবডি টেস্ট ও ট্রুনাট পদ্ধতির মধ্যে পার্থক্য জানতে চাইলে এসএসকেএমের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের প্রধান ভিআরডিএল প্রজেক্টের প্রিন্সিপাল ইনভেস্টিগেটর চিকিৎসক রাজা রায় জানান, করোনাভাইরাস গ্রুপে সাত ধরনের করোনাভাইরাস রয়েছে। এই পরিবারের সবচেয়ে নতুন সদস্য হল করোনাভাইরাস। ‘ট্রু-ন্যাট’ যন্ত্র করোনাভাইরাস গ্রুপকে চিহ্নিত করতে পারে। ভাইরাসের অস্তিত্ব চিহ্নিত করার ক্ষেত্রে ট্রু-ন্যাট’-এর কার্যকরী ক্ষমতা অনেক বেশি। আরটি-পিসিআরে নমুনা পরীক্ষা করতে দক্ষতা প্রয়োজন। সে তুলনায় ‘ট্রু-ন্যাট’-এর ব্যবহার অনেক সহজ, খরচ কম, রিপোর্টও দ্রুত পাওয়া যায়।
তার মতে, লালারসের নমুনায় কোভিডের অস্তিত্ব নিশ্চিত করতে হলে আরটি-পিসিআরের মাধ্যমেই তা সম্ভব। আইসিএমআর বলছে, ট্রু-ন্যাট-এ নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ এলে তা চূড়ান্ত ধরা হবে। রিপোর্ট পজিটিভ হলে তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য আরটি পিসিআর আবশ্যক।
বেলেঘাটায় অবস্থিত ইন্টারমিডিয়েট রেফারেন্স ল্যাবরেটরির (আইআরএল) ইনচার্জ চিকিৎসক প্রশান্ত দাস বলেন, একটি নমুনা পরীক্ষা করতে সময় লাগে ৪৫ মিনিট। একটি যন্ত্র আট ঘণ্টা কাজ করলে সারা দিনে ২০টি নমুনা পরীক্ষা করা সম্ভব। এদিকে স্বাস্থ্য দফতর বলছে, আগামী দিনে সিবি-ন্যাট পদ্ধতিতে করোনা স্ক্রিনিংয়ের পরিকল্পনা রয়েছে।
Leave a reply