করোনা রোগী সম্পর্কে সতর্ক করতে চশমা আবিষ্কার করেছে চীন

|

এ চশমার মাধ্যমে নিরাপদ দূরত্ব রক্ষা করেই মানুষের তাপমাত্রা মাপা সম্ভব।

করোনা রোগী সম্পর্কে সতর্ক করতে, দারুণ কার্যকর এক চশমা আবিষ্কার হয়েছে চীনে। এ চশমা চোখে থাকলে, আশপাশের সবার শরীরের তাপমাত্রা জানতে পারবেন আপনি। থার্মাল ডিটেক্টর বা আলাদা যন্ত্রের মাধ্যমে তাপমাত্রা পরিমাপের দরকার হবে না। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার এ চশমার মাধ্যমে নিরাপদ দূরত্ব রক্ষা করেই মানুষের তাপমাত্রা মাপা সম্ভব হবে।

করোনাভাইরাস সংক্রমণের অন্যতম উপসর্গ শরীরের তাপমাত্রা। বিস্তার ঠেকাতে, তাই তাপমাত্রা পরিমাপের ব্যাপারে সতর্ক সবাই। কিন্তু ব্যক্তি পর্যায়ে থার্মোমিটার বা থার্মাল ডিটেক্টর ব্যবহার সম্ভব নয় সবার পক্ষে। এ সংকটের দারুণ সমাধান কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার এই চশমা।

এ চশমা চোখে থাকলে স্বয়ংক্রিয়ভাবেই ভেসে উঠবে আশপাশের মানুষের শরীরের তাপমাত্রা। ক্যামেরা আর ইনফ্রারেড সেন্সরের মাধ্যমে ১০ ফুট দূরত্ব পর্যন্ত মানুষের তাপমাত্রা পরিমাপে সক্ষম টি-ওয়ান নামের চশমাটি। একসাথে একাধিক ব্যক্তির তাপমাত্রা মাপতেও সক্ষম এটি।

জিয়াং ওয়েনজি (ভাইস-প্রেসিডেন্ট, রকিড) বলেন, চশমাটিতে ইনফ্রারেড থার্মোমিটারের সঙ্গে একটি কেবল যোগ করা হয়েছে। যা চশমায় সরাসরি তথ্য পাঠায়। এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় দ্রুত সেই ডাটা শনাক্ত হয়ে ভেসে উঠে। চশমা ব্যবহারে সামনের ২ থেকে ৩ মিটার দূরত্বের যেকোনো মানুষের তাপমাত্রা সহজেই জানা যাবে।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও গেমিং প্রযুক্তির সম্মিলন ঘটিয়ে এ চশমা তৈরি করেছে চীনা প্রতিষ্ঠান রকিড। সঠিকভাবে তাপমাত্রা যাচাই, সহজে বহন করার সুবিধার পাশাপাশি এটি শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিতের বাড়তি সুরক্ষা দিচ্ছে ব্যবহারকারীদের। যে কারণে, টি-ওয়ান চশমা জনপ্রিয়তা পেতে সময় লাগেনি। বাজারে আসামাত্রই ১ হাজার পিস চশমা সংগ্রহ করেছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান।

নিরাপত্তাকর্মী চেন গোয়াকিং বলেন, এই চশমা ব্যবহারে দারুণ সুবিধা হয়েছে। বিশেষ করে থার্মোমিটারের চেয়ে এটি অনেক বেশি নিরাপদ। এখন নিরাপদ দূরত্বে থেকে কাজ করা যায়।

দেখতে সায়েন্স ফিকশনের জটিল কোনো যন্ত্র মনে হলেও, এর ব্যবহার খুবই সহজ। উদ্ভাবকরা বলছেন, শিল্প কারখানা বা অফিস আদালত যেখানে মানুষের ভিড় বেশি সেসব জায়গায় দারুণ কার্যকর এই টি-ওয়ান চশমা। এতে জনে জনে সবার তাপমাত্রা মাপার ঝামেলা কমবে। পর্যায়ক্রমে, শপিং মল ও বিমানবন্দরে এ চশমার কার্যকারিতা নিশ্চিত করতে চান উদ্ভাবকরা।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply