কোভিড ১৯-এর দাপটে বিশ্ব আজ অসহায়। এখন পর্যন্ত করোনার কার্যকর কোনো ভ্যাকসিন পাওয়ার খবর দিতে পারেনি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। তবে ১০৭টি ভ্যাকসিনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
করোনার ওষুধ উদ্ভাবনে নিরন্তর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বিশ্বের নামি নামি বিজ্ঞানীরা। যুক্তরাষ্ট্রের বিজ্ঞানীরাও চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন। করোনার ভ্যাকসিন কবে আসছে, এ নিয়ে আগ্রহের শেষ নেই মানুষের।
হোয়াইট হাউসের করোনা মোকাবেলায় গঠিত কমিটির সমন্বয়ক ডা. দেবোরাহ বার্ক্স জানিয়েছেন করোনার ভ্যাকসিন কবে আসছে। তিনি জানান, কাগজ-কলমে জানুয়ারির আগে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন পাওয়া সম্ভব নয়। তবে এ জন্য সঠিকভাবে সব কার্যক্রম সম্পন্ন হওয়া দরকার।
করোনার ভ্যাকসিন কবে নাগাদ পাওয়া বাস্তবসম্মত- এমন প্রশ্ন করা হলে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ফক্স নিউজকে তিনি বলেন, ভ্যাকসিন তৈরিতে কমপক্ষে ১২-১৮ মাস সময়ের দরকার।
ডা. দেবোরাহ বার্ক্স বলেন, আর এটি তখনই সম্ভব, যদি একসঙ্গে ৫ থেকে ছয়টি ভ্যাকসিনের কার্যক্রম এগিয়ে নেয়া যায়। এই কাজও দ্রুতগতিতে সম্পন্ন করতে হবে। একক কোনো ভ্যাকসিনের ওপর নির্ভর করলে চলবে না। বেশ কিছু ভ্যাকসিন তৈরি করতে হবে; যেগুলো ভিন্ন ভিন্ন কাজ করবে।
‘এর পর এসব ভ্যাকসিনের ক্লিনিক্যাল পরীক্ষা দ্রুত চালানো দরকার। কাগজ-কলমে তখনই এটি সম্ভব। করোনার ভ্যাকসিন পরীক্ষার তৃতীয় ধাপেও সফল হতে হবে। কারণ এর কার্যকরিতা প্রমাণের জন্য একটি সম্প্রদায়ের মধ্যে ভাইরাসটির সক্রিয় সংক্রমণ ঘটাতে হবে; সেটি প্রতিরোধও করতে হবে।’
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরাও করোনার ভ্যাকসিন উদ্ভাবনে কাজ করছেন। তারা আশা করছেন সেপ্টেম্বর নাগাদ এই ভ্যাকসিন পাওয়া সম্ভব।
Leave a reply