অনিবন্ধিত তরুণ অভিবাসীদের সুরক্ষা প্রকল্প ডিএসিএ‘তে সংস্কার এনে নতুন অভিবাসন নীতিমালার খসড়া চুড়ান্ত করেছেন মার্কিন আইনপ্রণেতারা। এতে আছে সীমান্তে কড়াকড়ি, চেইন ইমিগ্রেশন বন্ধ ও ডিভি লটারি বাতিলের মতো প্রস্তাবনাও। ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকান দু’দলের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে গঠিত কমিটি চূড়ান্ত করেছে অভিবাসন নীতিমালার এ খসড়া।
অনিবন্ধিত তরুণ অভিবাসীদের বৈধতা দান কর্মসূচি নিয়ে রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাট আইনপ্রণেতাদের যৌথভাবে সিদ্ধান্ত নেয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। তারা সম্মতিতে পৌঁছালে বিলে সইও হওয়ার কথা।
ট্রাম্পের এ ঘোষণার পর রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাট দু’দলের ৬ আইনপ্রণেতা মিলে গঠিত হয় বিশেষ কমিটি। বলা হচ্ছে, তরুণ অভিবাসী বা ড্রিমার্স’দের আমেরিকা ত্যাগ করা থেকে রক্ষা করবে নতুন আইন। যদিও কী থাকছে তা এখনও অস্পষ্ট।
হোয়াইট হাউজের প্রেস সেক্রেটারি সারাহ হাকাবি স্যান্ডার্স বলেন, অভিবাসী বিষয়ক নতুন বিল এখনও চুড়ান্ত হয়নি। এটিকে নিখুঁত করতে কাজ চলছে। শিগগিরই জাতির সামনে তুলে ধরা হবে নতুন বিল। প্রেসিডেন্ট তার দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে ওয়াকিবহাল। মার্কিনীদের অকল্যাণ হয় এমন কোন নীতিমালা প্রণয়ন করা হবে না।
নতুন বিলে প্রাধান্য পাচ্ছে সীমান্ত সুরক্ষা, ডিভি লটারি বাতিল, ড্রিমার্স কর্মসূচির সংস্কার ও পারিবারিক সূত্র ধরে অভিবাসন বাতিল ইস্যু। রিপাবলিকানরা বলছে, ডিএসিএ কর্মসূচিতে ভবিষ্যতে কোন ফাঁকফোকর যেনো না থাকে সেটাই নিশ্চিত করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে সমঝোতার সুর ডেমোক্র্যাটদের কণ্ঠেও।
এ বিষয়ে হাউজ স্পিকার পল রায়ান বলেন, ডিএসিএ প্রকল্পের সমাধান চাই আমরা। সে লক্ষ্যেই কাজ চলছে। কারণ অভিবাসীদের সাথে দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থাও জড়িত। তাই, সর্বসম্মতিক্রমে স্থায়ী নীতিমালা গ্রহণ করা প্রয়োজন। সুতরাং ঘাবড়ানোর কারণ নেই। এখনই আতঙ্কিত হবেন না।
ডেমোক্র্যাট সিনেটর টিম কেইন বলেন, ট্রাম্পের সীমান্ত সুরক্ষা প্রস্তাবনার সাথে আমরা একমত। কিন্তু দেয়াল তুলে নয়, অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার ও সীমান্তে নিরাপত্তা বৃদ্ধির মাধ্যমে এটি সম্ভব। আর ড্রিমার্সদের হতাশার কোন কারণ নেই, তাদের সুরক্ষায় সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি আমরা। আশা করছি সফলও হবো।
অনিবন্ধিত তরুণ অভিবাসীদের সুরক্ষা দিতে ২০১২ সালে ডিএসিএ কর্মসূচি প্রণয়ন করে তৎকালীন ওবামা প্রশাসন। এর আওতায় যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছে প্রায় ৮ লাখ তরুণ-তরুণী।
Leave a reply