পটুয়াখালী প্রতিনিধি:
করোনা পরিস্থিতিতে জেলেদের ভিজিএফ’র চাল নিয়ে অনিয়ম করার প্রতিবাদে রাঙ্গাবালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুজ্জামান খান মামুনের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছে ওই এলাকার শতাধিক জেলে।
বৃহস্পতিবার দুর্গম চরাঞ্চল থেকে ট্রলার যোগে পটুয়াখালী জেলা শহরের পৌঁছে প্রথমে জেলা প্রশাসকের বাসভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচী এবং পরে ডিসি কার্যালয়ের সামনে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করে তারা।
এসময় জেলেরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের বিচারের দাবীতে জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দেয়।
ভুক্তভোগী জেলেদের মধ্য আবু জাফর গাজী, ফোরকান হাওলাদার, শুক্কুর মৃধা, তসলিম মুন্সি মোশারেফ ফরাজিসহ একাধিক জেলেরা অভিযোগ বলেন-জেলে তালিকায় নাম থাকা স্বত্বেও ভিজিএফ’র চাল দেয়া হচ্ছেনা প্রকৃত জেলেদের। টাকার বিনিময়ে অন্য পেশার লোকজন জেলেদের ভিজিএফ কার্ড হাতিয়ে নিয়ে চাল পাচ্ছে। অথচ করোনা এই মহামারি দুর্যোগে প্রকৃত জেলেরা কোন সহায়তা পাচ্ছেনা। করোনার এই পরিস্থিতিতে চেয়ারম্যানের কাছে সহায়তা চাইতে গেলে রাঙ্গাবালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইদুজ্জামান খান মামুন ও ইউপি সদস্য রহিম চৌকিদার মহিলা কাউন্সিলর নারগিস পারভিন কল্পনা তাদের ক্যাডার বাহিনী দিয়ে জেলেদের মারধরসহ লাঞ্ছিত করেন। এ ঘটনায় প্রাথমিক ভাবে সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে মৌখিক নালিশ দেয়া সত্ত্বেও কোন প্রতিকার পাওয়া যায়নি। তাই জেলা প্রশাসকের কাছে বিচার চাইতে এসেছেন বলে জেলেরা দাবী করেন।
এ ব্যপারে অভিযুক্ত রাঙ্গাবালী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাইদুজ্জামান খান মামুন সাংবাদিকদের জানান- জেলে কার্ড সীমিত এবং পর্যাপ্ত সহায়তা না থাকায় জেলেদের প্রত্যাশা মেটানো যাচ্ছেনা। জেলেদের মারধোরের বিষয়টি সত্য নয়। স্থানীয় রাজনৈতিক একটি মহল জেলেদের উৎসাহিত করে আমার বিরুদ্ধে প্রোডাগান্ডা ছড়াচ্ছে। তাছাড়া সদর ইউনিয়নে কার্ডধারী জেলে ২৭শ। আর বরাদ্দ পাওয়া গেছে মাত্র ১৬শ জেলের। বঞ্চিত জেলেদের মাঝে তো ক্ষোভ থাকতেই পারে।
তবে পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক মোঃ মতিউল ইসলাম চৌধুরী সাংবাদিকদের জানান- রাঙ্গাবালী উপজেলায় জেলেদের ভিজিএফ কার্ড নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ পেয়েছি। সাথে সাথে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে তদন্তের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তদন্তে অনিয়ম প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Leave a reply