বাংলাদেশে করোনাভাইরাস প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ এবং অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড ক্রমান্বয়ে চালু করার সুবিধার্থে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, স্থাপনা, ও পেশার জন্য কারিগরি নির্দেশনা সম্বলিত গ্রন্থ প্রকাশ করেছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
করোনা মোকাবিলায় নেয়া স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম পর্যালোচনা এবং সমন্বয়ের লক্ষ্যে দায়িত্বপ্রাপ্ত জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞগণ চীন ও অন্যান্য দেশের সংশ্লিষ্ট কারিগরি নির্দেশনা অনুসরণ করে গ্রন্থটি প্রণয়ন করেছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক নির্দেশিত গ্রন্থটিতে বলা হয়েছে, ‘এখানে বর্ণিত নির্দেশনাগুলোতে যাই থাকুক না কেন, সরকার কর্তৃক সময়ে সময়ে ঘোষিত কঠোর, মধ্যম বা স্বল্প মাত্রার পদক্ষেপগুলো অবশ্যই যথাযথভাবে মেনে চলতে হবে।’
‘কোভিড-১৯’ গ্রন্থে বাড়ি ও এপার্মেন্ট ভবন সম্পর্কিত নির্দেশনায় বাড়িতে মাস্ক ও জীবনুনাশক সরঞ্জাম সংরক্ষণ করা, নিয়মিত তাপমাত্রা পরীক্ষা করা, পুষ্টিকর খাবার খাওয়া, নিয়মিত ব্যয়াম করা এবং পর্যাপ্ত বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা রাখতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এছাড়া, আড্ডা দেয়া, বেড়াতে যাওয়া, জনসমাগম স্থানে প্রয়ােজনীয় সুরক্ষা নিয়ে যেতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
অফিস সম্পর্কিত নির্দেশনায় প্রয়োজনীয় জীবনুনাশক সরঞ্জাম সংরক্ষণ করা এবং তা প্রতিটি কর্মীর ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। কর্মীদের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করা, নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে কাজ করা, এসির ব্যবহার পরিমিত মাত্রায় রেখে বাতাস চলাচল বাড়ানো এবং অফিসের খোলা জায়গা পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।
শপিং মল সম্পর্কিত নির্দেশনায় শপিং মলের বাইরে প্রয়োজনীয় জীবনুনাশক সরঞ্জাম সংরক্ষণ করতে হবে। প্রতিটি স্টাফের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করা, ক্রেতার সংখ্যা সীমিত করা, নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে কেনাকাটা করা, এসির ব্যবহার পরিমিত মাত্রায় রেখে বাতাস চলাচল বাড়ানো এবং টয়লেট জীবাণুমুক্ত রাখতে হবে।
এছাড়া, ব্যাংক, রেস্টুরেন্ট, সেলুন, কৃষিজাত দ্রব্যের বাজার ও গ্রাম্য হাট-বাজার, পার্ক, স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান, মেডিকেল কোয়ারেন্টিন ও পর্যবেক্ষণ এলাকা, রেলপথে যাত্রী পরিবহণ, সড়কপথে যাত্রী পরিবহন, নৌপথে যাত্রী পরিবহন, সিভিল এভিয়েশন, বাস, ট্যাক্সি, ব্যক্তিগত গাড়ি, বিদেশ থেকে ফেরা বা দূরবর্তী স্থান থেকে আগত লোকজনের জন্য স্থানান্তর যানবাহন, রিকশা ও ত্রিচক্র যান, ওয়ার্ড-গ্রাম-পাড়া বা মহল্লা, প্রতিষ্ঠান, কারখানার জন্য স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কিত নির্দেশনা (গার্মেন্টস, হোশিয়ারী, চামড়া ও টেক্সটাইল ইত্যাদি), নির্মাণ শিল্প, ডাক ও এক্সপ্রেস বিতরণ শিল্প, সরকারি অফিস, শিশু যত্ন কেন্দ্র, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বৃদ্ধ নিবাস, কারাগার, মানসিক স্বাস্থ্য চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান, প্রবীণ নাগরিক, গর্ভবতী মা, শিশু, শিক্ষার্থী, নিজ প্রয়োজনে চিকিৎসা প্রাপ্তি, পুলিশ সদস্য, কোম্পানি স্টাফ, কাস্টমস (অভিবাসন পরিদর্শন, স্বাস্থ্য এবং কোয়ারেন্টিন) কর্মচারী, ড্রাইভার, কুরিয়ার সেবা, ইউটিলিটি সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী, বাবুর্চি, নিরাপত্তা কর্মী, স্যানিটেশন ব্যবস্থা কর্মী, পরিচ্ছন্ন কর্মী, খাদ্য পরিবেশনকারীদের জন্য নির্দেশনা দেওয়া আছে।
Leave a reply