মাইক্রো চালককে আটকে লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি: অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান

|

নীলফামারীর সৈয়দপুরে দুর্ঘটনা কবলিত একটি মাইক্রোবাসের চালককে আটকে রেখে লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবির অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় জাহাঙ্গীর আলম ও জহির রায়হান নামের দুই গ্রাম পুলিশকে আটক করেছে পুলিশ।

এনিয়ে কামারপুকুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রেজাউল করিম লোকমানের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। আজ শনিবার দুপুরে মাইক্রোবাস চালক রেজাউল হক বাদি হয়ে চেয়ারম্যানকে প্রধান আসামি করে ৯ জনের বিরুদ্ধে থানায় একটি চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করেন। সন্ধার দিকে তাদেরকে আটক করা হয়।

এর আগে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সৈয়দপুর থানা পুলিশ কামারপুকুর ইউনিয়নের একটি বাড়ির তালাবদ্ধ ঘর থেকে মাইক্রোবাস চালক রেজাউল হককে উদ্ধার করে। তার বাড়ি গাজীপুর জেলা কাপাসিয়া উপজেলায়।

সৈয়দপুর থানা পুলিশ জানায়, গত ৭ মে ঢাকা থেকে মাইক্রোবাসটি যাত্রী নিয়ে দিনাজপুরের বীরগঞ্জ যাওয়ার পথে কামারপুকুর এলাকায় একটি বাইসাইকেলকে ধাক্কা দেয়। এতে বাইসাইকেল আরোহী আহত হন। এ ঘটনায় চেয়ারম্যান রেজাউল করিম লোকমান মাক্রোবাসসহ চালককে আটকে রেখে এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। দাবিকৃত টাকা দিতে অপরাগতা প্রকাশ করায় মাইক্রোবাসসহ চালককে ইউনিয়নের জনৈক ফিরোজ আলী বাড়ির একটি ঘরে আটকে রাখা হয়।

মাইক্রোবাস চালক এভাবেই বললেন তাকে আটকে রেখে চাঁদা দাবির কথা। এ ঘটনায় দুই গ্রাম পুলিশ সদস্যকে আটক করা হয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে জানায় থানা পুলিশ।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply