দক্ষিণ কোরিয়ায় করোনাভাইরাস দিতে পারে দ্বিতীয়দফার ধাক্কা। খোদ প্রেসিডেন্ট মুন জায় ইন এ শঙ্কা প্রকাশ করে বলেন- ভাইরাস পুরোপুরি নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত নেই নিস্তার। দেশটিতে সংক্রমণের হার মোটামুটি শূন্যের কোঠায় নামানোর একমাস পর, হুট করেই শনিবার শনাক্ত হলো আরও ৩৪ করোনা পজেটিভ। মহামারির বিস্তাররোধে আবারও দেশটির নাইটক্লাব-বার’সহ বন্ধ হলো সব বিনোদনমূলক স্থাপনা।
দক্ষিণ কোরিয়া ৯ এপ্রিল সর্বোচ্চ ৩৯ জনের শরীরে শনাক্ত হয় কোভিড নাইনটিন। এরপর, মোটামুটি শূন্যের কোঠায় নেমে আসে সংক্রমণ। শিথিল করা হয় লকডাউন। সীমিত পরিসরে ফুটবল খেলাসহ চালু হয় সবধরণের বিনোদনমূলক কার্যক্রম।
তাতেই ঘটে বিপত্তি। সম্প্রতি, পানশালা থেকে ফেরা ২০ বছর বয়সী এক কোরিয়ানের নমুণা পরীক্ষায় পাওয়া যায় করোনাভাইরাস। তার সংস্পর্শে আসা ১৫ জনের শরীরেও মেলে প্রাণঘাতী ভাইরাসটি। তাদের মাধ্যমেই আরও ১৯ জনের শরীরে হয় কমিউনিটি ট্রান্সমিশন। যারফলে, দ্বিতীয়দফায় মহামারির ধাক্কা আসতে পারে এমন শঙ্কা প্রেসিডেন্টের।
প্রেসিডেন্ট মুন জায় ইন বলেন, দক্ষিণ কোরিয়া যখন পুরোপুরি ভারসাম্য অবস্থায় প্রবেশ করলো; সেসময়ই দ্বিতীয়বার সংক্রমণ ঘটলো করোনার। সম্প্রতি, পানশালা থেকে কোভিড নাইনটিন ছড়ানোর ঘটনাটি আমাদের জন্য বড় উদাহরণ। চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখালো- যেকোন মুর্হুতে যেকোন পরিস্থিতিতে এর উদ্ভব ঘটতে পারে। অর্থাৎ, ভাইরাসটি পুরোপুরি নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত এরথেকে মুক্তি নেই। আশঙ্কা- দ্বিতীয় দফায় ধাক্কা দিতে পারে মহামারি।
এদিকে বিস্তার রোধে, দ্রুত বন্ধ ঘোষিত হয় সবধরণের বিনোদনমূলক স্থাপনা। নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করলেই দেয়া হবে শাস্তি।
সিউলের মেয়র পার্ক ওন সুন বলেন, সিউল জরুরি ভিত্তিতে সবধরণের জনসমাবেশ নিষিদ্ধ করলো। এ তালিকায় রয়েছে নাইটক্লাব, বার-পাব, অতিথিশালা। ঘোষণার পর থেকে, কোন বিনোদনমূলক স্থাপনা তাদের ব্যবসায়িক কার্যক্রম সচল রাখলে কঠোর শাস্তির মুখোমুখি হবে। সেখানে যারা যাবেন, তাদেরও গুণতে হবে অর্থদণ্ড।
করোনাভাইরাসের উৎসস্থল চীনের প্রতিবেশী হওয়া সত্ত্বেও, প্রথম থেকে কঠোর হাতে মহামারি নিয়ন্ত্রণে রাখে দক্ষিণ কোরিয়া। এরফলে, দেশটিতে সংক্রমিত হয়েছেন ১১ হাজারের কাছাকাছি মানুষ। প্রাণ হারিয়েছেন আড়াই শতাধিক।
Leave a reply