করোনা আক্রান্ত গর্ভবতীর চিকিৎসার ব্যবস্থা করলো বংশাল থানা পুলিশ

|

বংশাল থানা: ফাইল ছবি

করোনা আক্রান্ত গর্ভবতী নারীর চিকিৎসা সহায়তা এগিয়ে এসেছে বংশাল থানা পুলিশ। তাদের চেষ্টায় ওই নারীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তির পর তিনি একটি পূত্র সন্তান জন্ম দিয়েছেন।

বংশাল থানার ওসি শাহীন ফকির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসির উদ্দিন জানান, তারা ঢামেকের করোনা ইউনিটে ভর্তি আছেন। মা ও ছেলে দুজনই ভালো আছে। তবে প্রয়োজন হলে নবজাতককে করোনা পরীক্ষা করানো হবে।

বংশাল থানার ওসি শাহীন ফকির জানান, গত ৬ মে রাতে বংশাল থানা এলাকার বাসিন্দা জাহিদুর রহমান মোবাইল ফোনে জানান তার স্ত্রী কামরুন্নাহার (২৫) গর্ভবতী এবং করোনায় উপসর্গে আক্রান্ত। পুলিশ স্বাস্থ্যবিধি মেনে তাকে হাসপাতালে নেয়। ঢামেক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তার পরীক্ষা করে এবং করোনার নমুনা সংগ্রহ করে।

হাসপাতাল থেকে কামরুন্নাহারকে হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দিলেও আত্মীয়রা বাসায় নিয়ে চিকিৎসা করানোর কথা জানায়। পরে পুলিশ তাকে বাসায় পৌঁছে দেয়। পরে জাহিদুর রহমান জানান তার স্ত্রী করোনায় পজেটিভ রিপোর্ট এসেছে।

গতকাল সোমবার সকাল সাড়ে ৮টায় জাহিদ পুনরায় জানায় তার স্ত্রীর প্রসব ব্যাথা উঠেছে। করোনায় আক্রান্ত হওযায় তাকে হাসপাতালে নিতে কেউ এগিয়ে আসছে না। পুলিশের গাড়িতে করে কামরুন্নাহারকে ঢামেক হাসপাতালে নেয়া হয়। থানার ওসি নিজেই ঢামেকে কামরুন্নাহারকে চিকিৎসার প্রত্যয়ণপত্র দেন।

পরে সোমবার দুপুর ১২টায় কামরুন্নাহারের একটি পুত্র সন্তান হয়। বর্তমানে মায়ের অবস্থা সংকটাপন্ন। কামরুন্নাহার ও তার ছেলে ঢামেকে বার্ন ইউনিটে করোনা ওয়ার্ডে ভর্তি আছে। থানা পুলিশ সার্বক্ষনিক তার সার্কক্ষনিক খোঁজ খবর রাখছে।

শাহীন ফকির বলেন, কামরুন্নাহার তার স্বামী ও আত্মীয়রা তার বেঁচে থাকার আশা প্রায় ছেড়েই দিয়েছিল। তাকে যে অবস্থায় গাড়িতে তোলা হয়েছে তাতে আমরাও ভয় পাচ্ছিলাম তিনি গাড়িতেই বাচ্চা প্রসব করে দেন কি-না। আর এই অবস্থায় নবজাতককে বাঁচানো অসম্ভব হয়ে পড়তে পারে। পরে হাসপাতারে নেওয়ার পর পরিচালকের তত্ত্বাবধানে ও একজন নার্সের সার্বিক সহযোগিতায় বাচ্চাটির নরমাল ডেলিভারি হয়। বংশাল থানা পুলিশের পক্ষ থেকে কিছু পুষ্টিকর ফল কিনে দেওয়া হয়েছে।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply