নিউইয়র্কের টাইমস স্কয়ারে বসানো হয়েছে এক অন্য রকম বিলবোর্ড। ‘ট্রাম্প ডেথ ক্লক’ নামের ওই বিলবোর্ডে লেখা হয়েছে করোনাভাইরাসের সংক্রমণে মৃত মানুষের সংখ্যা।
তবে এই সংখ্যাটা হচ্ছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যথাসময়ে ব্যবস্থা না নেয়ায় করোনাভাইরাসে কতজন মারা গেছেন, সেই সংখ্যা।
সোমবার পর্যন্ত ওই বিলবোর্ডে মৃতের সংখ্যা ৪৮ হাজারের কিছু বেশি লেখা হয়। প্রকৃতপক্ষে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১২টা পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে মৃতের সংখ্যা ৮২ হাজার ৫৫৫ জন এবং আক্রান্ত ছাড়িয়ে গেছে ১৩ লাখ ৯৫ হাজার ২৬ জন।
করোনা মোকাবেলায় ট্রাম্পের ভূমিকায় সন্তুষ্ট নন অনেকে। সম্প্রতি সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাও এ নিয়ে ট্রাম্পের সমালোচনা করেছেন। অনেকে মনে করেন, ট্রাম্প যদি দ্রুত সঠিক সিদ্ধান্ত নিতেন, করোনায় মৃত্যুর হার অনেক কম হতো। তেমন একজন ইউজিন জারেকি। সেই ক্ষোভ থেকেই ‘মৃত্যু ঘড়িটি’ তৈরি করেছেন এই চলচ্চিত্র নির্মাতা। মহামারীর কারণে ফাঁকা টাইমস স্কয়ারের একটি বাড়ির ছাদে এটি বসানো হয়েছে।
এক পোস্টে ঘড়িটির বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছেন জারেকি। তিনি মনে করেন, যুক্তরাষ্ট্রে কোভিড-১৯ রোগে মৃত্যুর হার ৬০ শতাংশ ঠেকানো সম্ভব হতো, যদি ট্রাম্প প্রশাসন বাধ্যতামূলক সামাজিক দূরত্ব বজায় ও স্কুল বন্ধ রাখার বিষয়টি এক সপ্তাহ এগিয়ে দিত।
অর্থাৎ ১৬ মার্চের বদলে ৯ মার্চ লকডাউন হলে মৃত্যু হার অনেক কম হতো। এ ধারণা থেকেই ঘড়িটি তৈরি। জারেকির এই ‘ঘড়ি’ ধারণা দিচ্ছে ৪৮ হাজার ১২১ জনের মৃত্যু হয়েছে ট্রাম্পের দায়িত্বহীনতার কারণে।
জারেকি নিউইয়র্কভিত্তিক চলচ্চিত্র নির্মাতা, যিনি দুবার সানড্যানস ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে পুরস্কার জিতেছেন। তিনি ব্যাখ্যা করেন, শীর্ষস্থানীয় মার্কিন সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ অ্যান্টনি ফাউচির মন্তব্য অনুসরণ করে বিশেষজ্ঞরা ওই ৬০ শতাংশ গণনা করেছেন। এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে ফাউচি সরকারের পদক্ষেপ নিয়ে মন্তব্য করে আলোচনায় আসেন।
ট্রাম্প প্রশাসনের উদ্দেশে তিনি বলেন, যথাসময়ে সঠিক পদক্ষেপ নিলে ৬০ শতাংশ মানুষের জীবন বাঁচত। তিনি বলেছিলেন, আরও আগে প্রশমন শুরু করলে আপনি আরও জীবন বাঁচাতে পারতেন। বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ওয়ার্ল্ডওমিটারসের তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে মৃতের সংখ্যা ৮২ হাজার ৫৫৫ জন এবং আক্রান্ত ১৩ লাখ ৯৫ হাজার ২৬ জন।
Leave a reply