ব্যাংকিং খাত নিয়ে সিপিডির বক্তব্যকে ‘জাস্ট রাবিশ’ বলে অভিহিত করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আল মুহিত। আজ রোববার সকালে সচিবলায়ে সাংবাদিকদের সাথে আলাপে এমন মন্তব্য করেন তিনি। মন্ত্রী আরও বলেন, সিপিডি বাংলাদেশকে নিচে নামাতে ব্যস্ত।
আগামী অর্থবছরে ভ্যাটের হার নতুনভাবে নির্ধারণ করা হবে বলেও জানান জানান অর্থমন্ত্রী।
২০২৪ সালে দেশে কোনো দরিদ্র মানুষ থাকবে না উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী বলেন, হয়তো আগামী বাজেটই আমার শেষ বাজেট হবে।
অন্যদিকে সিপিটির পর্যবেক্ষণ নিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেছেন, সিপিডির এ বক্তব্য যদি গবেষণার ফল হয় তাহলে আমরা লজ্জিত। রপ্তানির হার বৃদ্ধি, দারিদ্রের হার কমানোসহ সব সূচকে বাংলাদেশ এগিয়ে গেলেও সিপিডির গবেষণায় এর প্রতিফলন নেই।
নির্বাচনের বছরে সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে ও বিরোধীদের অস্ত্র তুলে দিতে সিপিডি এমন কথা বলছে বলে মনে করেন বাণিজ্যমন্ত্রী। তিনি প্রশ্ন করে বলেন, উন্নয়ন যদি না হয় তাহলে বাংলাদেশ কিভাবে বিশ্বব্যাংকসহ আন্তর্জাতিক সংস্থার স্বীকৃতি পাচ্ছে?
উল্লেখ্য, গতকাল শনিবার সংবাদ সম্মেলনে চলতি অর্থবছরে দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে সিপিডি জানায়, ধারাবাহিকভাবে ভাল প্রবৃদ্ধি হলেও দারিদ্র বিমোচন কাঙ্খিত মাত্রায় হয়নি। উল্টো আয় বৈষম্য বেড়েছে।
সিপিডির পর্যবেক্ষণে আরও বলা হয়, ঋণ লোপাট, ব্যাংকের মালিকানাধীনাসহ নানা কারণেই ২০১৭ সাল ছিল ব্যাংকিংখাতের কেলেংকারির বছর। চলতি বছরেও এমন নাজুক পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের কোনো আশা নেই। কারণ, ব্যাংক কোম্পানি আইন সংশোধন করে মালিকদের পারিবারিক নিয়ন্ত্রণ আরও বাড়ানোর সুযোগ করে দিয়েছে সরকার।
সংবাদ সম্মেলনে সিপিডির গবেষক তৌফিকুল ইসলাম খান বলেন, যারা একেবারে গরীব আছেন, তারা আরও গরীব হয়ে যাচ্ছেন বলে আমরা লক্ষ্য করছি। উল্টো দিকে ধনীরা আরও সম্পদের মালিক হচ্ছেন। পরিসংখ্যান তুলে ধরে জনাব তৌফিক বলেন, একদিকে গরীব মানুষের আয় শতকরা ৬০ ভাগ কমেছে, অন্যদিকে ধনীদের আয় বেড়েছে ৬০ ভাগ।
টিবিজেড/
Leave a reply