করোনাভাইরাসের অ্যান্টিবডি আবিষ্কার বিশ্বজুড়ে আতঙ্কের মধ্যে আশার আলো। সান দিয়েগোতে অবস্থিত সোরেন্টো থেরাপিউটিক্স নামক একটি বায়োটেক সংস্থা দাবি করেছে যে পেট্রি ডিশ পরীক্ষায় তাদের আবিষ্কৃত এসটিআই-১৪৯৯ অ্যান্টিবডি সুস্থ মানব কোষে করোনাভাইরাসের প্রবেশ আটকে দিতে শতভাগ সফল হয়েছে।
এই অ্যান্টিবডি নিয়ে প্রি-ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের পর সোরেন্টো থেরোপিউটিকস পরবর্তী কার্যক্রমে এগোচ্ছে। খবর ফক্সনিউজের।
নিউইয়র্কের এমটি সিনাই স্কুল অফ মেডিসিনের সহযোগিতায় সোরেন্টো যে ড্রাগ ‘ককটেল’ তৈরির জন্য পরিকল্পনা করছে, এসটিআই-১৪৯৯ অ্যান্টিবডি তাদের মধ্যে একটি।
এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে সোরেন্টো বলেছে যে তারা মাসে ২ লাখ ডোজ পর্যন্ত অ্যান্টিবডি তৈরি করতে সক্ষম। এছাড়া সংস্থাটি ইউএস ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ) থেকে জরুরি অনুমোদনের জন্য আবেদন করেছে, তবে এখনও অনুমতি পায়নি। এদিকে, সোরেন্টো এই ঘোষণার পরই তাদের স্টকের মূল্য প্রায় ২২০ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে।
সোরেন্টো প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. হেনরি জি ফক্সনিউজকে বলেছেন, “আমরা জোর দিয়ে বলছি করোনার প্রতিষেধক পাওয়া গেছে, এমন সমাধান যা শতভাগ কাজ কার্যকর। এসটিআই-১৪৯৯ নামক এই অ্যান্টিবডি যদি আপনার শরীরে দেয়া হয়, তবে আপনার আর সামাজিক দূরত্বের দরকার নেই। আপনি নির্ভয়ে সমাজে চলতে পারবেন।”
অ্যান্টিবডিগুলির একটি ককটেল মানব কোষের জন্য ‘প্রতিরক্ষামূলক জাল’-এর মতো কাজ করতে পারে। এটি ভাইরাসটিকে প্রাথমিক প্রবেশদ্বার থেকে মানুষের কোষ পৃষ্ঠের রিসেপটর এসিই-২ রিসেপ্টর থেকে ব্লক করে।
ডা. হেনরি জি আরও বলেন, এসটিআই-১৪৯৯ অ্যান্টিবডি মানবদেহে থাকা ভাইরাসটিকে চারপাশ থেকে ঘিরে ধরে এবং সেটিকে আটকে ফেলে দেহ থেকে বিতাড়িত করে।
যদিও মানবদেহে এখনো অ্যান্টিবডিটি পরীক্ষা করা হয়নি। সুতরাং এটি কীভাবে শরীরের অভ্যন্তরে আচরণ করবে এবং এর সম্ভাব্য পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াগুলি সম্পূর্ণ অজানা।
গত ডিসেম্বরে চীনের উহান শহর থেকে ছড়িয়ে পরে ভাইরাসটি। এ ভাইরাসে বিশ্বজুড়ে আক্রান্ত হয়েছে প্রায় সাড়ে ৪৬ লাখ মানুষ। মৃতের সংখ্যা তিন লাখ ৮ হাজারের বেশি। তবে আশার কথা ১৭ লাখ ৫৮ হাজারের বেশি মানুষ করোনা থেকে ইতোমধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছেন। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ১৫ লাখের মতো এবং মৃতের সংখ্যা সাড়ে ৮৮ হাজারের বেশি।
Leave a reply