‘মান্ধাতা আমল’: কে এই মান্ধাতা!

|

আমরা পুরনো কিছুকে বোঝাতে মান্ধাতা আমল কথাটা ব্যবহার করি। কিন্তু কে এই মান্ধাতা ? কেনইবা পুরনো কিছু বোঝাতে মান্ধাতা আমল শব্দটা ব্যবহার করি! আসলেই মান্ধাতা নামে কেউ ছিলো। হ্যা বাস্তবে ছিলো। এমনটাই উল্ল্যেখ পাওয়া যায় মহাভারতের বনপর্ব, দ্রোণপর্ব এবং শান্তিপর্বে।

জানা যায়, রাজা যুবনাশ্ব তখন অযোধ্যার রাজা। কিন্তু রাজার কোনও সন্তান ছিল না। মন কষ্টে জঙ্গলে চলে যান। সেখানে গিয়ে তিনি তপস্যা শুরু করেন সন্তান লাভের জন্য। একদিন রাজার খুব জল তেষ্টা পায়। তখন তিনি চ্যবন ঋষির আশ্রমে যান। কিন্তু তাঁকে জল দেওয়ার মতো আশ্রমে কেউ ছিল না। যজ্ঞবেদীর উপর রাখা একটি জল ভর্তি কলস দেখে সেই জলই যুবনাশ্ব পান করে নেন। এর পর ঋষি আশ্রমে ফিরে সব দেখে রেগে যান। ঋষি জানান রাজাকে যে এই জল তাঁর স্ত্রীয়ের জন্য ছিল। এই জল খেলে তাঁর স্ত্রী সন্তান লাভ করতেন। কিন্তু জল যখন রাজা খেয়েছেন তখন ফল তো পেতেই হবে। অতএব রানির বদলে রাজাই হলেন গর্ভবতী।

এরপর রাজার বাম দিকের পেট কেটে বার করা হয় সন্তানকে। পুত্র সন্তান লাভ করেন রাজা। এই ছলের নাম রাখেন মান্ধাতা। এই শিশুকে দেখতে আসেন দেবরাজ ইন্দ্র। দুধ খাওয়ার জন্য কাঁদলে ইন্দ্র নিজের আঙুল মুখে ধরে মান্ধাতার। জন্ম থেকে দুধ খাওয়ানো সব কিছুই করেন পুরুষরা। এই মান্ধাতা মাত্র ১২ বছরেই বিশাল শরীর লাভ করেছিল। যুদ্ধবিদ্যায় পারদর্শী ছিল। তাঁর রাজত্বকালও ছিল। অতএব মান্ধাতা আমল শুধু কথার কথা নয়।

মহাভারতের এই মান্ধাতার সময়কাল অনেক আগের। তাই প্রাচীন কালের কথা বুঝাতে মান্ধাতার আমলের কথা বলা হয়।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply