আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশের পক্ষে সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরি তামিম ইকবালের। তিন ফরম্যাট মিলে ২৩টি সেঞ্চুরি রয়েছে তার ঝুলিতে।
তবে এ সংখ্যা আরও অনেক বেশি হতে পারত যদি ৮০ রানের ইনিংসগুলোকে তিন অঙ্কে নিয়ে ঠেকাতে পারতেন।
পরিসংখ্যান বলছে– ৮০ রানের বেশি করে ১০০-এর আগেই আউট হয়েছেন তামিমের এমন ইনিংস ১৮টি। এদের মধ্যে নার্ভাস নাইন্টিতে আউট হওয়ার ঘটনা চারটি।
এবার তামিমকে প্রশ্ন করা যেতেই পারে– এই চারটি ইনিংসের মধ্যে কোনটিতে সেঞ্চুরি মিস করে সবচেয়ে বেশি কষ্ট পেয়েছেন?
শনিবার রাতে তামিমের ফেসবুক লাইভ আড্ডায় যোগ দিয়ে এই প্রশ্নই করেছেন সৌম্য সরকার।
তামিমকে জিজ্ঞেস করেন সৌম্য– ‘আপনি তো অনেকবার ৮০-৯০ রানের ইনিংস খেলে তা সেঞ্চুরিতে নিতে পারেননি। এর মধ্যে কোন সেঞ্চুরিটি মিস করায় সবচেয়ে বেশি কষ্ট পেয়েছেন?’
এ প্রশ্নের পরপরই তামিমের জবাব– ‘চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে; অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে ৯৫ রান। তবে সত্যি কথা বলতে, আমি সবচেয়ে বেশি কষ্ট যদি কোন ইনিংসে সেঞ্চুরি মিস করে পেয়েছি, সেটি হলো চট্টগ্রামে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এক ম্যাচে। ৯৫ করে আউট হয়ে গিয়েছিলাম। ওই ইনিংসে সেঞ্চুরি না করায় সবচেয়ে বেশি কষ্ট পেয়েছি।’
কিন্তু তামিমের কষ্ট যেন সৌম্য আরও বেশি বোঝেন।
সৌম্য বলেন, ‘আপনার কাছে সেই ইনিংসে সেঞ্চুরি মিস করাকে সবচেয়ে বেশি কষ্টের মনে হতে পারে। কিন্তু আমার কাছে মনে হচ্ছে পাকিস্তানের বিপক্ষের সেই ম্যাচের কথা। ওই দিন আপনি সেঞ্চুরি করবেন, এমন আশা নিয়েই আপনার সঙ্গী হয়েছিলাম মাঠে। কারণ সেদিন আপনি ১০০ করলে সেঞ্চুরির হ্যাটট্রিক হতো আপনার। আমার চোখে দেখা– আপনার সবচেয়ে কষ্টের সেঞ্চুরি মিস ওটাই ছিল।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের পাকিস্তানের বিপক্ষে ঘরের মাঠে ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচেও শুরুটা বেশ করেছিলেন তামিম। পুরো সিরিজজুড়েই ব্যাট কথা বলছিল তামিমের। প্রথম দুই ম্যাচে ১৩২ ও ১১৬ রানের দুই ইনিংস খেলে ফর্মের চূড়ায় ছিলেন তামিম। তাই বাংলাদেশি সমর্থকদের আশা ছিল সেঞ্চুরির হ্যাটট্রিক করবেন তামিম। সেদিন বাংলাদেশের পক্ষে সেঞ্চুরি এসেছিল। তবে তা তামিমের নয়, ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরিতে ১২৭ রান করে অপরাজিত থাকেন সৌম্য। তামিম ৬৪ রান করে আউট হন।
Leave a reply