লকডাউনের মধ্যেই দীর্ঘ ৯ বছরের সংসারের ইতি টানলেন অভিনেতা জিয়াউল ফারুক অপূর্ব ও তার স্ত্রী নাজিয়া হাসান অদিতি। এ নিয়ে বেশ কয়েকদিন ধরে গুঞ্জন চললেও রোববার প্রথম বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন নাজিয়া। ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন, স্টপ কলিং মি ভাবি, এভরিওয়ান। এরপর মাঝ রাতে এ বিষয়ে নিজের অবস্থান জানিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দেন অপূর্বও। তিনি তৃতীয় কাউকে বিচ্ছেদের ঘটনায় টেনে না আনার হুঁশিয়ারি দেন। কিন্তু এরপরই এ ঘটনার দিকে ইঙ্গিত দিলেন তৃতীয় একজন- অভিনেত্রী তানজিন তিশা।
অনেকেই বলছেন, অপূর্ব-নাজিয়ার বিচ্ছেদের ঘটনায় এ সময়ের তানজিন তিশার এই স্ট্যাটাস গুঞ্জনকেই আরও উসকে দিলো। সম্প্রতি এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ নিয়ে নানা রকম গুঞ্জন লক্ষ্য করা গেছে। এ বিষয়টি নিয়ে বিরক্ত অপূর্ব। সোমবার ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি ফেসবুকে লিখেছেন, ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে গসিপ করা এবং তীর্যক, মিথ্যা বানোয়াট মন্তব্য করে তাদের কষ্ট বাড়িয়ে দেওয়ার মতো খারাপ কাজগুলো থেকে সবাই বিরত থাকবেন। রসালো কোন গল্প তৈরি করে সংবাদ করার চেষ্টা করবেন না, প্লিজ।
তিনি আরও লিখেন, অত্যন্ত সম্মানের সঙ্গে জানাচ্ছি, আমি এবং আমার স্ত্রী অদিতি অত্যন্ত শান্তিপূর্ণ সমাধানের মধ্য দিয়ে আমাদের সম্পর্কের আইনগত ইতি টেনেছি। কোন সংবাদমাধ্যম এই ব্যাপারে তৃতীয় কাউকে জড়িয়ে কোন ধরনের ভুল সংবাদ প্রকাশ করলে আমি তাদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আইনগত ব্যবস্থা নেব। অলরেডি প্রকাশিত কিছু সংবাদের লিংক আমি সংগ্রহ করেছি। আমি অদিতিকে সম্মান করি এবং আজীবন করব। সুতরাং কোনোভাবেই অদিতিকে অসম্মান করে তার পাশে অন্য কারো নাম আমি সহ্য করব না। ভুলে যাবেন না, অদিতি এখন আইনগতভাবে আমার স্ত্রী না থাকলেও সে আমার সন্তানের মা।
অপূর্বর এমন পোস্টের কিছুক্ষণ পরেই ‘যারা উদ্বিগ্ন তাদের জন্য’ উল্লেখ করে তানজিন তিশা লিখেছেন, ‘আমি সাধারণত গুজবে সাড়া দিই না। তবে আজ আমি অনুভব করছি যে, কয়েকটি অনলাইন সংবাদপত্রে প্রকাশিত চলমান গসিপ বন্ধ করা উচিত। দয়া করে আমার নামটি ব্যবহার করবেন না, এতে আমার সহশিল্পী এবং তার পরিবারের চলমান পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে। আমি সত্যিকার অর্থে বিশ্বাস করি যে, কেউ আমার ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য ইচ্ছাকৃতভাবে এসব করছে।’
ভক্ত এবং শুভাকাঙ্ক্ষীদের উদ্দেশ্যে তানজিন তিশা লিখেছেন, ‘দয়া করে এসব মিথ্যা খবর বিশ্বাস করবেন না।’
সাংবাদিকদের অনুরোধ করে তিশা লিখেছেন, এই ধরনের ভিত্তিহীন গল্পে তার নাম যেন উল্লেখ না করা হয়। যারা এই কাজটি চালিয়ে যাবেন, তাদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Leave a reply