ঘ্রাণশক্তির শক্তির জন্য প্রাচীনকাল থেকে খ্যাতি কুকুরের। এবার সেই ঘ্রাণশক্তি ব্যবহারে করোনা রোগী শনাক্তের চেষ্টা যুক্তরাজ্যের একদল গবেষকের। কুকুরের মাধ্যমে গন্ধ শুঁকে করোনা রোগী শনাক্তের চেষ্টা করছেন গবেষকরা। তাদের ধারণা, এটি সফল হলে, ঘন্টায় প্রায় আড়াইশো মানুষকে পরীক্ষা করতে পারবে একটি কুকুর।
প্রাথমিকভাবে করোনার গন্ধ আবিষ্কারের চেষ্টা করছেন যুক্তরাজ্যের গবেষকরা। গবেষণাটির জন্য অনুদানও দিয়েছে, ব্রিটিশ সরকার।
এ গবেষণার জন্য প্রাথমিক পর্যায়ে লন্ডনের হাসপাতাল থেকে করোনা রোগীদের গন্ধের নমুনা সংগ্রহ করা হবে। পরে প্রয়োগ করা হবে বিশেষজ্ঞ ৬ কুকুরের ওপর। গবেষণার জন্য ৫ লাখ পাউন্ড অনুদান দিয়েছে ব্রিটিশ সরকার।
এরমাধ্যমে উপসর্গ দেখা দেয়ার আগে, কুকুর গন্ধ শুঁকে করোনাভাইরাস শনাক্ত করতে সক্ষম কিনা, তা দেখতে চান গবেষকরা। সেক্ষেত্রে করোনার আলাদা গন্ধ আছে কিনা, সেটি বের করাই মূল চ্যালেঞ্জ।
লন্ডন স্কুলের রোগ নিয়ন্ত্রণ বিভাগের প্রধান গবেষক জেমস লোগান বলেন, এই গবেষণার মূল উদ্দেশ্যে করোনা রোগের আলাদা গন্ধ থাকলে সেটা আবিষ্কার করা। এবং প্রশিক্ষিত কুকুর দিয়ে সেটা শনাক্ত করা। যেমনটা ম্যালেরিয়ার আলাদা একটা গন্ধ আছে। এবং কুকুর সেই গন্ধ শুঁকে শনাক্ত করতে পারে। করোনার ক্ষেত্রেও আমরা একই ফলাফল পেতে চাই।
ডারহাম ইউনিভার্সিটির পতঙ্গবিজ্ঞানী স্টিভ লিন্ডসে বলেন, করোনা রোগীর গন্ধ সংগ্রহে আমরা এক ধরণের মুখোশ অথবা নাইলনের মোজা ব্যবহার করবো। একটু অদ্ভুত হলেও এটি দারুন কার্যকর। আর এই গবেষণায় সফল হলে, এয়ারপোর্টসহ অন্যান্য জায়গাগুলোতে দ্রুত করোনা রোগী শনাক্ত করা সম্ভব হবে।
এরআগে ক্যান্সার, ম্যালেরিয়া ও পারকিসন রোগের গন্ধ শনাক্তে সফলভাবে প্রশিক্ষণ দেয়া হয় কুকুরদের। এই প্রচেষ্টা সফল হলে ঘন্টায় ২৫০ জনকে পরীক্ষা করতে পারবে কুকুর।
ডারহাম বিশ্ববিদ্যালয় ও দ্যা চ্যারিটি মেডিক্যাল ডিটেকশন ডগসের সহযোগিতায় পরীক্ষার প্রথম ধাপ পরিচালনা করবেন লন্ডন স্কুল অব হাইজিন অ্যান্ড ট্রপিক্যাল মেডিসিনের গবেষকরা।
Leave a reply