আঘাত হানবে সন্ধ্যায়
বাংলাদেশের দিকে ধেয়ে আসছে অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় আম্পান। বর্তমানে এটি পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থান করছে।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, এটি আরও উত্তর-উত্তর পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে বুধবার বিকাল বা সন্ধ্যা নাগাদ সুন্দরবনের নিকট দিয়ে পশ্চিমবঙ্গ-বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম করতে পারে।
কেন্দ্রের কাছে বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ২০০ কিলোমিটার যা দমকা হাওয়ার সাথে ২২০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এরইমধ্যে বাগেরহাট-ফেনী-ভোলাসহ বেশ কিছু এলাকায় বৃষ্টি হয়েছে। বইছে ঝড়ো হাওয়া। মোংলা ও পায়রা বন্দরকে ৭ এবং চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। সাত নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় আছে উপকূলের ১৪ জেলা।
ঘূর্ণিঝড় জনিত জলােচ্ছ্বাসের সতর্কতা:
ঘূর্ণিঝড় এবং অমাবস্যার প্রভাবে উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভােলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নােয়াখালী, ফেনী ও চট্টগ্রাম এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৫-১০ ফুট অধিক উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।
ঝড়াে হাওয়ার সতর্কতা:
ঘূর্ণিঝড় অতিক্রমকালে সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরােজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভােলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাদপুর, নােয়াখালী, ফেনী ও চট্টগ্রাম জেলাসমূহ এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহে ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণসহ ঘন্টায় ১৪০-১৬০ কিঃ মিঃ বেগে দমকা অথবা ঝড়াে হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
জেলেদের জন্য সতর্কতা:
উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে অতিসত্বর নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলা হয়েছে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
Leave a reply