করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে আসায় ইউরোপে অনেকটাই শিথিল লকডাউন। কিন্তু ভয়াবহ অর্থমন্দার পথে মহাদেশটি। কর্মসংস্থান পুরোপুরি নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার এবং স্বাস্থ্য-খাদ্য নিরাপত্তার দাবিতে বিক্ষোভে নেমেছেন ইউরোপীয়রা।
এরইমাঝে স্পেনের ঘোষণা, জুলাই থেকে গোটা বিশ্বের সাথে স্বাভাবিক হবে দেশটির পর্যটনখাত। এছাড়া, দুর্গত পরিবারগুলোর সহায়তায় হাতে নেয়া হলো ৩০০ কোটি ইউরোর প্রকল্প।
স্পেনের অন্যান্য শহরে লকডাউন শিথিল করা হলেও করোনভাইরাস বিস্তারের শঙ্কায় টানা ৮৩ দিন ধরে অবরূদ্ধ রাজধানী মাদ্রিদ ও বার্সেলোনা। এতে ক্ষুব্ধ শহরবাসী নামলেন ভিন্নধর্মী আন্দোলনে।
তাদের মূল দাবি- সচল অর্থনীতি। কর্মসংস্থানের মাধ্যমে খাদ্য-স্বাস্থ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। বিষয়টিকে মাথায় রেখেই প্রেসিডেন্ট ঘোষণা দেন, জুন থেকেই স্বাভাবিক হবে পর্যটন ও ক্রিড়াখাত।
স্পেনের প্রেসিডেন্ট পেদ্রো সানচেজ বলেন, জুলাই থেকে শর্তসাপেক্ষে বিদেশিদের জন্য খুলবে দেশের দরজা। পর্যটন আমাদের অর্থনীতির মূল ভিত্তি। তবে, পর্যটকদেরও বলবো- শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে ভ্রমণ পরিকল্পনা করবেন না। তাতে, নতুনভাবে করোনা বিস্তারের সম্ভাবনা এড়ানো যাবে। এছাড়া, মহামারিতে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর সহায়তায় শিগগিরই শুরু হচ্ছে ৩০০ কোটি ইউরোর মিনিমাম বেসিক ইনকাম স্কিম।
ইতালি, জার্মানি, ফ্রান্স’সহ ইউরোপের অন্যান্য দেশও লকডাউন প্রত্যাহারের দাবিতে হয়ে উঠছে উত্তপ্ত। ক্ষুব্ধদের শান্ত রাখতে সরকারি উদ্যেগের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরলেন জার্মান চ্যান্সেলর।
জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মার্কেল বলেন, জার্মানদের চাপা ক্ষোভের কারণটা স্পষ্ট। করোনাভাইরাস শুধু স্বাস্খ্যখাতই নয় বরং আর্থ-সামাজিক অবস্থা, গোটা গণতান্ত্রিক কাঠামোর ওপর আঘাত হেনেছে।কিন্তু, দেশের স্বার্থেই এখন লকডাউন প্রত্যাহার করবো না। কোভিড নাইনটিন নিয়ন্ত্রনে এলেই স্বাভাবিক হবে অবরূদ্ধ পরিস্থিতি।
চলতি বছর, করোনাভাইরাসের ধাক্কায় মহাদেশটির অর্থনীতির সূচক ৭ দশমিক ৪ শতাংশ কমবে- এমন পূর্বাভাস ইউরোপিয়ান কমিশনের। যা, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সবচেয়ে বড়ো মন্দা।
Leave a reply