পটুয়াখালী প্রতিনিধি:
‘করোনা সংক্রমণ সংক্রান্ত প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ মূলক’ তোরণ নির্মাণকে কেন্দ্র করে পটুয়াখালীতে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে বাউফল উপজেলা শহর রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। স্থানীয় সংসদ সদস্য ও পৌর মেয়র গ্রুপের সংঘর্ষে যুবলীগ কর্মী তাপস দাসের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও নয় জন। পরে সমঝোতার মাধ্যমে পৃথক পৃথক স্থানে গেট করার সিদ্ধান্তের পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
স্থানীয় ও আহতদের সাথে কথা বলে জানা যায়, দুপুর একটার দিকে বাউফল পৌরসভার মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল হক জুয়েলের নির্দেশে পৌরসভার কর্মী ও তার দলীয় লোকজন ডাক বাংলোর সামনে তোরণ নির্মাণ শুরু করে।
এ খবর শুনে স্থানীয় এমপি ও সাবেক চীফ হুইপ আসম ফিরোজ গ্রুপ ইব্রাহিম ফারুককে সাথে নিয়ে তোরণ নির্মাণে বাধা দেয়। এতে কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে দুই গ্রুপ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এসময় উভয় পক্ষের নেতাকর্মীরা মারমুখী হয়ে পড়ে।
পরে পুলিশ লাঠিচার্জ করে সবাইকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এসময় উভয় গ্রুপের অন্তত ১০ জন আহত হয়। আহতদের মধ্যে এমপি গ্রুপের যুবলীগ কর্মী তাপসসহ উভয় গ্রুপের চারজনকে বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাপসকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। রাত আটটার দিকে তাপস মারা যায়। নিহত তাপস উপজেলার কালাইয়া এলাকার বধু দাসের ছেলে।
সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ ফারুক হোসেন জানান, দুপুর একটা থেকে বিকাল তিনটা পর্যন্ত এ সংঘর্ষ চলে। বর্তমানে পরিবেশ শান্ত আছে এবং অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
Leave a reply