Site icon Jamuna Television

দুর্যোগের মধ্যেই ভারতে পঙ্গপালের হানা; এক দিনে খেয়ে ফেলতে পারে ৩৫ হাজার লোকের খাবার!

বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাস ও ঘূর্ণিঝড় আম্পানের আঘাতের মধ্যেই ঝাঁকে ঝাঁকে পঙ্গপাল হানা দিয়েছে ভারতে। পঙ্গপালের ঝাঁক সাধারণত ভারতে রাজস্থানের পশ্চিমাঞ্চলের বিভিন্ন জেলায় হানা দেয়। কিন্তু এবার ফসল ধ্বংসকারী এই পতঙ্গ জয়পুর শহর পর্যন্ত পৌঁছে গেছে। ফুড অ্যান্ড অ্যাগ্রিকালচারাল অর্গানাইজেশনের (এফএও) এক হিসেব মতে, পঙ্গপালের ঝাঁক দিনে ১৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত পথ অতিক্রম করতে পারে। এক বর্গকিলোমিটারের একটি ঝাঁক ৩৫ হাজার লোকের খাবার খেয়ে ফেলতে পারে। সূত্র: টাইমস অফ ইন্ডিয়া।

সোমবার শহরের আবাসিক এলাকাগুলোতে ঝাঁকে ঝাঁকে পঙ্গপাল ঢুকে পড়ে। এতে মানুষের সামনে এক অস্বাভাবিক দৃশ্যপট তৈরি হয়ে যায়।

বর্তমানে ডৌসা জেলামুখী হয়েছে এই ফসলবিনাসী পতঙ্গেরা। কর্মকর্তারা বলেন, তারা আরও সামনের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। সাবার করার জন্য কোনো ফসল না থাকায় তারা গাছগাছালির ক্ষতি করছে।

জয়পুরের মরুলিপুরা ও বিদ্যাধরনগর এলাকায় লোকজন থালি পিটিয়ে পঙ্গপাল তাড়ানোর চেষ্টা করছেন।

রাজ্য কৃষি বিভাগের কমিশনার ওম প্রকাশ বলেন, রাজস্থানের ১৮টি জেলায় এই বিপদ ছড়িয়ে পড়েছে। খাবারের খোঁজে তারা দ্রুত অগ্রসর হচ্ছে।

এই পঙ্গপালের ঝাঁক নাগোরে ছিল। কিন্তু রোববার তা জয়পুরে পৌঁছে আশপাশের এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে।

তিনি বলেন, ক্ষেতে কোনো ফসল না থাকায় তারা বড় বড় গাছের ওপর বসে পড়ে। তারা দ্রুত সামনের দিকে যাচ্ছে।

গত রাতে কীটনাশক ছড়িয়ে পঙ্গপাল নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেছেন স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।

২০১৯ সালেও একবার পঙ্গপালের দল ভারতে হানা দিয়েছিল। সেবারও চাষীদের অনেক টাকার ফসল নষ্ট হয়েচিল।

জানা যাচ্ছে, এবারের দলটি গতবারের থেকে তিন গুণ বড়। তাই ক্ষতির আশঙ্কাও বেশি। যদিও দিল্লি, হরিয়ানার চাষীরা শেষবার কবে পঙ্গপালের হানা দেখেছেন তা মনে করতে পারছেন না।

গত বছর রাজস্থানের ১২টি ছয় লাখ ৭০ হাজার হেক্টর জমির ফসল নষ্ট করেছিল পঙ্গপালের দল।

এবার সেখানে ৬০০ ট্রাক্টর দিয়ে বিভিন্ন এলাকায় কীটনাশক ছড়ানো হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে ড্রোন চেয়েছে। যাতে বেশি জায়গায় নজরদারি চালানো যায়।

Exit mobile version