নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি:
নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে আধিপত্য বিস্তার ও পূর্ব বিরোধের জের ধরে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ ও গোলাগুলিতে একজন নিহত ও ১০ জন আহত হয়েছে।
বুধবার বিকেলে কালাপাহাড়িয়া ইউনিয়নের ইজার কান্দি এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় বেশ কয়েকটি বাড়িঘর ভাঙচুরের খবর পাওয়া গেছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আড়াইহাজার থানার ওসি নজরুল ইসলাম। তিনি জানান, নিহত আইয়ুব নবী (১৬) ইজার কান্দি এলাকার জালাল উদ্দিনের ছেলে। নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ এর ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আড়াইহাজার উপজেলার কালাপাহাড়িয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেনের সাথে ৫নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি মেম্বার আব্দুল হক গ্রুপের দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এদিকে বুধবার বিকেলে ইজার কান্দি এলাকায় জুয়ার আসর বসায় রাসেল ও তার সহযোগীরা। এলাকায় জুয়া খেলতে বাধা দেয় ইজার কান্দি কবরস্থান পাঠাগারের চাকুরীজীবী অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র আইয়ুব নবী। এ নিয়ে প্রথমে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়।
আইয়ুব নবীর পক্ষ নেয় সাবেক ইউপি মেম্বার আব্দুল হক ও রাসেলের পক্ষ নেয় ছাত্রলীগ নেতা সাদ্দাম হোসেন। এ নিয়ে আগ্নেয়াস্ত্রসহ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে এক গ্রুপ আরেক গ্রুপের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। চলে দফায় দফায় সংঘর্ষ ও গুলি বিনিময়। সংঘর্ষ চলাকালীন সময়ে আইয়ুব নবীর মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যায় আইয়ুব নবী। সংঘর্ষে উভয় গ্রুপের কমপক্ষে আরও ১০ জন আহত হয়। খবর পেয়ে কালাপাহাড়িয়া পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশসহ আড়াইহাজার থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে দুই পক্ষকে ধাওয়া দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এব্যাপারে আড়াইহাজার থানার (ওসি) নজরুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে দুই পক্ষকে ধাওয়া করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। নিহত আইয়ুব নবীর মাথায় গুলির চিহ্ন রয়েছে। তার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ফের সংঘর্ষ যাতে না হয় সেজন্য এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। অপরাধীদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার জন্য পুলিশ কাজ করছে।
Leave a reply