রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ইস্যুতে বাংলাদেশ-মিয়ানমার যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকে সই হলো ফিজিক্যাল অ্যারেঞ্জমেন্ট। শিগগিরই বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে আশাবাদী কর্মকর্তারা।
সকালে মিয়ানমারের রাজধানী নেইপিদোয় যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের দ্বিতীয় দিনের বৈঠকে স্বাক্ষর হয় এ অ্যারেঞ্জমেন্ট। বৈঠকে বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূতসহ ১৪ সদস্যের দলের নেতৃত্ব দেন পররাষ্ট্র সচিব মো. শহিদুল হক। মিয়ানমারের ১৫ সদস্যের দলের প্রধান ছিলেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী সচিব মিন্ত থো।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, শর্ত অনুযায়ী প্রত্যাবাসন শুরু হওয়ার দু’বছরের মধ্যে শেষ করতে হবে এই কর্মকাণ্ড। যাচাই-বাছাই শেষে প্রত্যাবাসনের ক্ষেত্রে একটি পরিবারকে ধরা হবে ইউনিট। সহিংসতায় এতিম এবং অনাকাঙ্খিত ঘটনায় বাংলাদেশে জন্ম নেয়া শিশুদের ব্যাপারে থাকবে আলাদা ফরম।
এছাড়া, রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠাতে বাংলাদেশে ৫টি ট্রানজিট ক্যাম্প স্থাপন করা হবে। আর, মিয়ানমারে তাদের গ্রহণ করার জন্য থাকবে দুটি কেন্দ্র। দু’দেশ দুটি টেকনিক্যাল ওয়ার্কিং গ্রুপ স্থাপনে সম্মত হয়েছে। একটি রোহিঙ্গাদের পরিচয় নিশ্চিতে কাজ করবে। অন্যটি ফেরত পাঠানোর বিষয়টি দেখাশুনা করবে।
যমুনা অনলাইন: এম এস আর/
Leave a reply