করোনাভাইরাসের প্রকোপের মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রে, এশিয়ান বংশদ্ভুতদের ওপর বেড়েছে বর্ণবাদী হামলা। নিউইয়র্ক সিটি’র মানবাধিকার বিষয়ক কমিশনের হিসাবে মাত্র দেড় মাসে ১৩৩ এশীয় বংশোদ্ভূত নাগরিকের ওপর বর্ণবাদী হামলা হয়েছে; যা আগের চেয়ে প্রায় ১২ গুন বেশি। অনাকাঙ্খিত ঘটনা এড়াতে নিউইয়র্কসহ বিভিন্ন এলাকায় বেড়েছে সামাজিক টহল।
গেল ১৯ মে ওয়াশিংটনে দিনে দুপুরে হামলার শিকার হব এশিয়ান বংশোদ্ভুত এক দম্পতি। এরপর কয়েকবারই হামলা করতে উদ্যত হয় শ্বেতাঙ্গহামলাকারী।
প্রাণঘাতি করোনাভাইরাসের বিস্তারে পর বর্ণবিদ্বেষি হামলা বেড়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। নিউইয়র্ক সিটি’র মানবাধিকার বিষয়ক কমিশনের হিসেবে ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৫ মার্চ পর্যন্ত ৩৫০টি বর্ণবাদী হামলার অভিযোগ এসেছে। যারমধ্যে এশিয়ান বংশোদ্ভুত নাগরিকই ১৩৩ জন। কোভিড নাইন্টিনের জন্য দায়ী করে এসব হামলা হয়েছে।
এ অবস্থায় শঙ্কা ছড়িয়েছে যুক্তরাষ্টে বসবাসরত চীন, ভিয়েতনামসহ এশিয়ার বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের মাঝে। পরিস্থিতি সামাল দিতে নিউইয়র্ক, ক্যালিফোর্নিয়াসহ যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন এলাকায় গড়ে উঠেছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। এশিয়ানদের নিরাপত্তায় দেয়া হচ্ছে টহল।
ইউনাইটেড পিস কর্পসের প্রতিষ্ঠাতা লিয়ানা লুই বলেন, পাবলিক প্লেসে বেশি হামলা হয়েছে। তাই আমরা এই স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী গঠন করে টহল দিচ্ছি। বিশেষ করে বৃদ্ধ, নারী এবং শিশুদের নিরাপত্তা দেয়া জরুরী হয়ে পড়েছে। নিরাপত্তা বাহিনীর সাথেও সমন্বয় করছি আমরা।
হামলার প্রতিবাদে গড়ে উঠেছে করোনা এবং এ ধরণের হামলা ক্ষতিগ্রস্থদের সহায়তায় তহবিলও গঠন করা হয়েছে।
দেশটির মানবাধিকার কর্মী অ্যাডাম ম্যানবাওবুয়া বলেন, যখন এ ধরণের হামলার খবর শুনি, মনটাই ভেঙ্গে যায়। তাই এমন একটা গ্রুপ খুলি যা দিয়ে এই অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঠেকানো যায়। এখন আমাদের সংগঠনের সদস্য প্রায় ২০ হাজার।
আসন্ন নির্বাচনে বর্ণবাদী আক্রমনের ঘটনা বড় প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ঠরা।
Leave a reply