অগ্নিকাণ্ডে অবহেলাজনিত মৃত্যুর অভিযোগে ইউনাইটেড হাসপাতালের চেয়ারম্যান, এমডি, প্রধান নির্বাহী, পরিচালক, দায়িত্বরত ডাক্তার, নার্স ও সেফটি সিকিউরিটির দায়িত্ব থাকা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে নিহত একজনের স্বজন।
নিহত এন্থনী পলের মেয়ের স্বামী রোনাল্ড নিকি গোমেজ রাতে রাজধানীর গুলশান থানায় মামলা দায়ের করেন। গুলশান থানার কর্তব্যরত কর্মকর্তা এস আই তোফাজ্জল হোসেন জানান, বুধবার রাত ৯টার দিকে সিইও, এমডি, চিকিৎসক ও নার্সসহ ৬ পদের নাম উল্লেখ করে পুরো কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়।
মামলার বাদি রোনাল্ড রিকি গোমেজ যমুনা নিউজকে বলেন, ঘটনার দিন তিনি দেখেছেন ইউনাইটেডের কর্তাদের অবহেলা। দুইবার করোনা টেস্ট নেগেটিভ আসার পরও তার স্বজনকে ইচ্ছাকৃতভাবে রাখা হয় আইসোলেশন ইউনিটে। চিকিৎসক ও প্রশাসকদের স্বেচ্ছাচারিতায় আরো কয়জন নন-কোভিড রোগীকে সেখানে রাখা হয়েছিল। অথচ তাদের করোনা নেগেটিভ ছিল। তাই এই ঘটনা ও ৫ জন নিহতের পেছনে সম্পূর্ণ দায় ইউনাইটেড হাসপাতালের। এই কয়েকদিন পরিবারের সবাই মানসিকভাবে বিপর্যস্ত থাকার কারণে মামলা করতে কয়েকদিন দেরি হয়েছে বলে জানান রোনাল্ড।
মামলার এজাহারে এন্থনী পল হাসপাতালে ভর্তির পর যা যা প্রত্যক্ষ করেছেন সব উল্লেখ করেছেন। এছাড়া আইসোলেশন ইউনিটের এসিতে লাগা ছোট্ট আগুন দায়িত্বরতদের অবহেলায় কীভাবে বড় হয়ে ৫ জনের জীবন কেড়ে নিলো তার বর্ণনাও করেছেন রোনাল্ড।
এজাহারে আরো উল্লেখ করা হয়, ঘটনার পর তারা লাশ চট্টগ্রামে নিতে হবে দেখে দেড় দিন ইউনাইটেডের মর্গ ব্যবহার করে। এজন্য ন্যূনতম মানবিকতা না দেখিয়ে ইউনাইটেডের কর্মকর্তারা তাদের কাছে বিল দাবি করেন। এমনকি হাসপাতালে ভর্তি ও চিকিৎসার জন্য দেড় লাখ টাকার ভাউচারও ধরিয়ে দেয়। গুলশান থানার ওসি বলেন, মামলাটি নেয়া হয়েছে। তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Leave a reply