অভিযোগের ভিত্তিতে এএসআইকে তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত ও অবশেষে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠালো গোপালগঞ্জ জেলা পুলিশ।
গোপালগঞ্জ জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। সেখানে উল্লেখ করা হয়, গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া থানাধীন রামশীল গ্রামের নিখিল তালুকদার (৩৮) গত ২ জুন ২০২০ পিঠের আঘাত নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। কিন্তু আহত নিখিলের পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, ওই দিন সকাল আনুমানিক সাড়ে ১১ টার দিকে রামশীল বাজারের পাশে সুইচ গেটের কাছের কাঁঠাল বাগানে নিখিল তালুকদার ও কয়েকজন মিলে তাস খেলছিলেন। তখন কোটালীপাড়া থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মোঃ শামীম হাসান এবং মোঃ রেজাউল গাজী (৪২) নামের অপর এক ব্যক্তি সেখানে অভিযানে যান।
এসময় তাস খেলতে থাকা অপর ব্যক্তিরা দৌঁড়ে পালালেও নিখিলকে ধরে ফেলে এএসআই মোঃ শামীম হাসানের অভিযনিক দল। তখন নিখিলকে পেছন দিক থেকে পিঠে আঘাত করা হয়। তাতে গুরুতর আহত হন নিখিল তালুকদার।
আহত নিখিল তালুকদারের পরিবারের পক্ষ থেকে এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে আইনানুযায়ী এএসআই মোঃ শামীম হাসানকে তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয় এবং অভিযোগ তদন্তে কমিটি গঠন করে গোপালগঞ্জ জেলা পুলিশ। এরই মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নিখিল তালুকদার মৃত্যুবরণ করেন।
সেই প্রেক্ষিতে এএসআই মোঃ শামীম হাসান ও অপর অভিযুক্ত মোঃ রেজাউল গাজীর বিরুদ্ধে ০৭ জুন ২০২০ খ্রি. রোববার হত্যা মামলা গ্রহণপূর্বক উভয়কে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করে গোপালগঞ্জ জেলা পুলিশ।
Leave a reply