ভারতের কেরালা রাজ্যের সাবেক ক্রিকেটার জয়মোহন থাম্পিকে গত সোমবার তার বাসায় মৃত অবস্থায় পায় পুলিশ। জয়মোহনের হঠাৎ মৃত্যুতে সবাই চমকে গিয়েছিলো। তিনি খুন হননি তো! পুলিশ অন্তত সেরকমই মনে করছে। গতকাল তার ছেলে অশিন থাম্পিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
জয়মোহনের বাড়ির একজন ভাড়াটিয়া পুলিশকে খবর দিলে মৃত্যুর ঘটনা জানাজানি হয়। ভাড়াটিয়া বাসার দ্বিতীয় তলায় থাকেন। নিচ তলা থেকে দুর্গন্ধ আসায় তিনি পুলিশকে খবর দিয়েছিলেন। তখন অশিন পুলিশকে জানিয়েছিল, বাবার মৃত্যুর ব্যাপারে তিনি কিছুই জানেন না। তবে, পুলিশ জানতে পারে বাবা ও ছেলে একসঙ্গেই থাকতেন।
এরপর থেকেই পুলিশের সন্দেহ বাড়তে থাকে। জয়মোহনের ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনের পাওয়া তথ্যের সঙ্গে অশিনের কথার কোনো মিল পায়নি পুলিশ। জয়মোহনের মৃত্যু হয় তার লাশ খুঁজে পাওয়ার ৩৬ ঘণ্টা আগে। পুলিশ তদন্তে জেনেছে, এ সময় অশিন ছাড়া আর কেউ তার সঙ্গে ছিলেন না। জিজ্ঞাসাবাদে অশিন খুনের কথা বলেছেন এমনটিই ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছে পুলিশ।
কেরালার ফোর্ট পুলিশ কর্মকর্তা আর প্রথাপন এ মামলা তদন্ত করছেন। তিনি জানান, ‘বাসায় একসঙ্গে মদ খাওয়ার অভ্যাস ছিলো বাবা ও ছেলের। মদ কিনতে জয়মোহনের ডেবিট কার্ড দিয়ে টাকা তুলতে চেয়েছিল অশিন। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে বিরোধের সৃষ্টি হয়।’
টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, হাতাহাতির এক পর্যায়ে ঘরের বারান্দায় পা পিছলে পড়ে যান জয়মোহন। মেঝেতে মুখটা সরাসরি পড়ায় আঘাত পান। কিছুক্ষণ পর তার ছেলে এসে জয়মোহনকে টানতে টানতে বাসার ভেতরে নিয়ে যায়। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে জয়মোহনের মাথায় আঘাতের চিহ্ন মিলেছে। এ আঘাতে তার মৃত্যু হয়েছে বলে মনে করছেন চিকিৎসকেরা।
উল্লেখ্য, জয়মোহন ছিলেন কেরালার উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান। কেরালার হয়ে খেলেছেন রঞ্জি ট্রফিতে (১৯৭৯-১৯৮২)। এছাড়াও ছয়টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলেছেন তিনি।
Leave a reply