পৃথিবীর সবচেয়ে বিপদজনক শহরগুলো লাতিন আমেরিকায়!

|

পৃথিবীর সবচেয়ে বিপদজনক শহরগুলো কি কি? প্রশ্নটা শুনলেই চোখের সামনে ভেসে আসতে পারে, মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধবিধ্বস্ত ইরাক-সিরিয়া-ইয়েমেন, কিংবা গৃহযুদ্ধ কবলিত আফ্রিকার কোন দেশের ছবি।

কিন্তু না, বাস্তব চিত্র একেবারেই ভিন্ন। বরং আশ্চর্যজনক বিষয় হলো যুদ্ধাবস্থা বিরাজ না করলেও বিশ্বের সবচেয়ে সহিংসতা প্রবণ অঞ্চল হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে দক্ষিণ আমেরিকা। বিশ্বের শীর্ষ ১০টি বিপদজনক শহরের মধ্যে ৮টির অবস্থান দক্ষিণ আমেরিকা ও ক্যারিবীয় অঞ্চলে অবস্থিত।

দ্য ইকোনমিস্টের এক প্রতিবেদন বলছে, বিশ্বের ৫০টি শীর্ষ হত্যাকাণ্ড সংগঠিত শহরগুলোর ৪৩টি দক্ষিণ আমেরিকা ও ক্যারিবীয় অঞ্চলে অবস্থিত। এর মধ্যে ৮টি শহর আবার শীর্ষ ১০-এর তালিকায় রয়েছে।

বিভিন্ন দল ও উপদলের মধ্যে বিদ্যমান লড়াই, দুর্নীতি, দুর্বল সরকারি প্রতিষ্ঠানের অবস্থার উন্নতি ঘটেনি। সাম্প্রতিক তথ্যে কিছু উন্নতি দেখা গেলেও ২০১৫ ও ২০১৬ সালে এল সালভাদর ছিল বিশ্বের সবচেয়ে সহিংতাপূর্ণ দেশ। ১৬ সালে দেশটির প্রতি লাখ মানুষে খুন হয়েছিল ৯১ জন। ২০১৫ সালে এ হার ছিল ১০৩ জন। রাজধানী সান সালভাদরে খুনের হার লাখে ১৯০ থেকে ১৩৭ এর মধ্যে ওঠানামা করে।

প্রতি লাখ জনসংখ্যায় ১০৮টি খুনের ঘটনায় দ্বিতীয় শীর্ষে মেক্সিকোর সমুদ্র তীরে শহর আকাপুলকো। শুধু আকাপুলকো নয়, পুরো মেক্সিকো জুড়ে কম-বেশি এ চিত্র বিরাজ করছে। মেক্সিকোতে বর্তমানে প্রতি লাখ জনসংখ্যায় খুনের সংখ্যা ১৭টি, আগে এ হার ছিল ১৪টি। ফলে দেশটির ৬টি শহর বিশ্বের শীর্ষ ৫০ বিপদজনক শহরের তালিকায় রয়েছে।

খুনের ঘটনায় বিশ্বের তৃতীয় শীর্ষ শহর হন্ডুরাজের সান পেদ্রো সুলা শহরে। এ ছাড়া শীর্ষ ৫০-এ রয়েছে রাজধানী তেগুচিগালপা ও চলোমো।

এরপর রয়েছে  ব্রাজিলের শহরগুলো। বড় বড় শহরগুলোতে খুনের হার কমলেও ছোট ছোট শহরের এর পরিমাণ বেড়েছে। শীর্ষ ৫০-এর তালিকায় জায়গা করে নেওয়া শহরগুলোর মধ্যে রয়েছে মারাবা, ভিয়ামাও, সাও পাওলো, পোর্তো আলেগ্রে, কারুয়ারু।

এছাড়া, অপরাপর দক্ষিণ আমেরিকার শহরগুলো মধ্যে রয়েছে কলম্বিয়ার পালমিরা ও কালি, পুর্তো রিকোর সান খুয়ান, এবং জ্যামাইকার কিংস্টন।

দক্ষিণ আমেরিকার বাইরে এ তালিকায় রয়েছে কেবল দু’টি দেশ-যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ আফ্রিকা। শীর্ষ ৫০টি শহরের তালিকায় রয়েছে দেশটির নিউ অর্লিন্স, বাল্টিমোর, এবং  ডেট্রয়েট। দক্ষিণ আফ্রিকার শহরগুলো হচ্ছে কেপ টাউন, নেলসন ম্যান্ডেলা বে, এবং বাফেলো সিটি।

যমুনা অনলাইন: এফএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply