শুভ জন্মদিন শাবানা

|

ঢাকাই চলচ্চিত্রে সবচেয়ে জনপ্রিয় নায়িকা শাবানার আজ জন্মদিন। তার পারিবারিক নাম আফরোজা সুলতানা রত্না। ১৯৫২ সালের এই দিনে চট্টগ্রাম জেলার রাউজান উপজেলার ডাবুয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তিনি।

শাবানা গেন্ডারিয়া হাই স্কুলে ভর্তি হলেও তার পড়ালেখা ভালো লাগত না। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার তাই ইতি ঘটে মাত্র ৯ বছর বয়সে। চলচ্চিত্রকার এহতেশাম ছিলেন তার চাচা। তার মাধ্যমেই শাবানার চলচ্চিত্রে আগমন। পরিচালক এহতেশামই তার শাবানা নামটি দেন।

শাবানার চলচ্চিত্রে সূচনা হয় শিশু শিল্পী হিসেবে নতুন সুর চলচ্চিত্র দিয়ে। তিনি ২৯৯টি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন, যার মধ্যে ১৩০টি চলচ্চিত্রে তার বিপরীতে ছিলেন আলমগীর।

শাবানা ১৯৭৩ সালে ওয়াহিদ সাদিকের সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। ওয়াহিদ সাদিক একজন সরকারী কর্মকর্তা ছিলেন। শাবানার প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান এস এস প্রডাকশন্সের মালিক সাদিক। ১৯৯৭ সালে শাবানা হঠাৎ চলচ্চিত্র-অঙ্গন থেকে বিদায় নেওয়ার ঘোষণা দেন এবং ২০০০ সালে সপরিবারে যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান। শাবানা-সাদিক দম্পতির দুই মেয়ে-সুমি ও ঊর্মি এবং এক ছেলে-নাহিন।

উল্লেখযোগ্য কিছু ছবি হলো— চকোরি, মধু মিলন, অবুঝ মন, চান্দ সুরজ, একই অঙ্গে এত রূপ, ছদ্মবেশী, ছন্দ হারিয়ে গেল, চৌধুরী বাড়ি, সমাধান, স্বীকৃতি, ওরা ১১ জন, অতিথি, ঝড়ের পাখি, জননী, মাটির ঘর, সখী তুমি কার, শেষ উত্তর, ছুটির ঘণ্টা, নাজমা, ভাত দে, দুই পয়সার আলতা, রজনীগন্ধা, লালু ভুলু, মা ও ছেলে, লাল কাজল, নালিশ, ঘরের বউ, সখিনার যুদ্ধ, নতুন পৃথিবী, হিম্মতওয়ালী, বাসেরা, হালচাল, চাঁপা ডাঙ্গার বউ, অশান্তি, বিরোধ, স্বামী স্ত্রী, অপেক্ষা, রাজলহ্মী শ্রীকান্ত, লালু মাস্তান, সারেন্ডার, রাঙা ভাবী, ব্যাথার দান, সত্য মিথ্যা, মরণের পরে, পিতা মাতা সন্তান, সান্ত্বনা, স্ত্রীর পাওনা, আন্ধি, অন্ধ বিশ্বাস, লহ্মীর সংসার, ঘাতক, ঘরের শত্রু, স্নেহ, কন্যাদান, সত্যের মৃত্যু নাই, স্বামী কেন আসামি ও পালাবি কোথায়।

শাবানা মোট ১০ বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান।

টিবিজেড/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply