বেড়েই চলেছে ভারত ও নেপালের কূটনৈতিক-সামরিক উত্তেজনা

|

সীমান্ত নিয়ে ভারত ও নেপালের মধ্যকার সংকটের শুরু হিমালয়ের পাহাড়ি এলাকায় ভারতের সড়ক নির্মাণ নিয়ে। ভারতের উদ্যোগে লিপুলেখ-কালাপানি এলাকায় প্রায় ৮০ কিলোমিটার দীর্ঘ সড়ক নির্মাণের পরই প্রতিবাদে সোচ্চার হয়ে ওঠে কাঠমান্ডু। দাবী বিতর্কিত এলাকা দুটির মালিকানা নেপালের। কোনোভাবেই এক ইঞ্চি জমি ভারতে অধীনে যেতে দেয়া হবে না বলে হুশিয়ারি দেন দেশটির নেতারা।

এ নিয়ে কূটনৈতিক-সামরিক উত্তেজনা বেড়েই চলেছে ভারত ও নেপালের। বিতর্কিত তিন এলাকাকে নেপালের মানচিত্রে অন্তর্ভুক্তির ঘটনায় চীনের সম্পৃক্ততা থাকার অভিযোগ ভারতীয় বিশ্লেষকদের। তবে, বিষয়টিকে দ্বিপাক্ষিক সংকট বলছে কাঠমান্ডু।

তারই ধারাবাহিকতায় শনিবার নতুন মানচিত্রের অনুমোদন দিয়ে পার্লামেন্টে বিল পাস করে নেপাল যেখানে বিতর্কিত লিপুলেখ, কালাপানি ও লিম্পুয়াধুয়ার বিস্তীর্ণ এলাকাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয় মানচিত্রে। ভারতীয় বিশ্লেষকরা বলছেন, চীনের হস্তক্ষেপের কারণে এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকতে পারে নেপাল।

ভারতের সামরিক বিশেষজ্ঞ এস কে চ্যাটার্জি বলেন, নেপালের এমন সিদ্ধান্ত কূটনৈতিকভাবে ভারতকে ধাক্কা দিয়েছে এটা মানতেই হবে। আরও আগেই বিষয়টি সমঝোতায় উদ্যোগী হওয়া প্রয়োজন ছিলো। এর পাশাপাশি এটাও ভেবে দেখতে হবে নেপালের এই আগ্রাসী আচরণের পেছনে চীনের কোনও ইন্ধন আছে কি না। কারণ এমনটা না হওয়ার কোনও সুযোগ নেই।

তবে ভারতের এমন অভিযোগকে একেবারেই উড়িয়ে দিচ্ছেন নেপালের বিশ্লেষকরা। দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমেই সংকটের সমাধান বলে মনে করছেন তারা।

নেপালের কলামিস্ট টিকা পি ধাকাল বলেন, ভারত এবং নেপালের মধ্যে বহুমুখী সম্পর্ক এবং তা বহুবছরের। নানা কারণে এই সম্পর্কে অবনতি হতে পারে। সেটা পুরোপুরি দ্বিপাক্ষিক বিষয়। এক্ষেত্রে তৃতীয় কোনও পক্ষকে দায়ী করার কোনও সুযোগই নেই। আলোচনার মাধ্যমেই চলমান সংকটের সমাধান করা সম্ভব।

সম্প্রতি লিপুলেখ, কালাপানি এবং লিম্পিয়াধাউরা এলাকাকে নিজেদের ভূখণ্ড দাবী করে নেপাল। ১৮১৬ সালের সুগাউলি চুক্তি অনুযায়ী এই দাবী করা হয়। ভারত আপত্তি জানালেও তাতে কর্ণপাত করেনি কাঠমান্ডু।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply