স্টাফ রিপোর্টার, নাটোর:
যমুনা টেলিভিশনে সংবাদ প্রচারের পর নাটোরের গুরুদাসপুরে ফতোয়ার শিকার পরিবারের মাঝে নগদ অর্থ ও খাদ্য সহায়তা দেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তমাল হোসেন এবং মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নিলুফা ইয়াসমিন রানীনগর এলাকায় গিয়ে সহায়তা সামগ্রী প্রদান করেন।
এ সময় স্বাভাবিক জীবনযাপনে স্থানীয় প্রশাসন ভুক্তভোগীদের পাশে আছে বলে আস্বস্ত করেন ইউএনও। পরে অসহায় পরিবারটিকে কেউ যেনো ভবিষ্যতে সমস্যা সৃষ্টি করতে না পারে সেজন্য এলাকাবাসীকে নির্দেশনা প্রদান করা হয়। ফতোয়া মুক্ত হয়ে স্বাভাবিক জীবনযাপনে ফিরে আসতে পেরে যমুনা টেলিভিশন এবং প্রশাসনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন অসহায় পরিবারটি।
উল্লেখ্য, গত ১৩ জুন শাশুড়িকে নিয়ে রানীনগরের বাড়িতে ফেরার সময় মাছ চাষি রাশিদুলের পথরোধ করে স্থানীয় শুকচাঁদ আলীসহ কয়েকজন। এ সময় তাদের কাছে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে মারধর করা হয়। সেই টাকা দিতে রাজি না হলে শাশুড়ি-জামাইয়ের মধ্যে অনৈতিক সম্পর্ক আছে বলে দেয়া হয় অপবাদ। পরে সালিশ বৈঠকে ফতোয়া জারি করে গ্রাম্য মাতবররা।
বলা হয়, অনৈতিক সম্পর্কের কারণে স্ত্রীর সাথে ঘর করতে পারবে না রাশিদুল। পরে একঘরে করা হয় পরিবারের সকল সদস্যদের। এ ঘটনায় মামলা হলে সোমবার অভিযুক্ত ৮ জনকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠায় পুলিশ। এনিয়ে মঙ্গলবার সংবাদ প্রচার করে যমুনা টেলিভিশন।
Leave a reply