২০১৩ সালে এভাবেই নিজেতে শেষ করে দিয়েছিলেন জিয়া খান। এরপর ২০২০ এ এসে আবারও সেই পুনরাবৃত্তি দেখলো বলিউড। সুশান্ত সিংহ রাজপুতের ঘটনায় সামান্য হেরফের হলেও অভিযোগ একই। মানসিক চাপ, স্বজনপোষণ এবং কোণঠাসা করে আত্মহননের পথে ঠেলে দেওয়া। এদিকে সুশান্তর মৃত্যুর ঘটনায় সালমান-করনসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
আনন্দবাজার পত্রিকা জানায়, সুশান্তের শোকসন্তপ্ত পরিবারকে সান্ত্বনা দিতে গিয়ে মেয়ে হারানোর সেই স্মৃতি ফের সামনে টেনে আনলেন জিয়া খানের মা রাবিয়া আমিন। এবারও সেই অভিযোগের আঙুল সালমানের দিকেই।
জিয়া খানের আত্মহত্যায় আদিত্য পাঞ্চোলির ছেলে সূরজ পাঞ্চোলিকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছিল। সেই সময়ে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত বিভিন্ন প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছিল, সূরজের সন্তান এসেছিল জিয়ার গর্ভে। সূরজ ক্রমাগত গর্ভপাতের জন্য চাপ দিতেন জিয়াকে। এমনও রটেছিল, অপটু ধাত্রী দিয়ে নাকি জোর করে গর্ভপাত করিয়ে ভ্রূণ ওয়াশরুমের কমোডে ফেলে দিয়েছিলেন সূরজ।
সুশান্তের কথা বলতে গিয়ে মেয়ে হারানোর শোকে নতুন করে উথালপাথাল রাবিয়া এক ভিডিও বার্তায় বলেন, এ শোক যাওয়ার নয়। এ অভাব মেটার নয়। আমি ভুক্তভোগী। তাই সুশান্তের পরিবারের সবার মনে কী ঝড় চলছে বুঝতে পারছি। কী ভাষায় সমবেদনা জানাবো, বুঝতে পারছি না।
তারপরেই তিনি অভিযোগের আঙুল তোলেন সালমান খান এবং তার পরিবারের দিকে। নির্দ্বিধায় বলেন, লন্ডন সিবিআই ডেকে পাঠিয়ে বলেছিল, শিগগিরি আসুন। বিশাল বড় সূত্র মিলেছে। খবর পেয়ে ছুটে যেতেই গোয়েন্দা সংস্থার গলায় ভিন্ন সুর। সালমান খান চাপ দিচ্ছেন তদন্ত বন্ধের, জানিয়েছেন, তার ‘সাথিয়া’ ছবির নায়ক সূরজ। ছবির পেছনে প্রচুর টাকা ঢেলেছেন। এখন এসব হলে তিনি লোকসানের মুখে পড়বেন। তারা যেন তদন্ত গুটিয়ে নেয়। দরকারে যা লাগবে তিনি দেবেন!
সরাসারি সুশান্তের জীবনে হয়ত কালো ছায়া ফেলেননি সালমান। কিন্তু স্বজনপ্রীতির ফলে কোণঠাসা হয়ে পড়েছিলেন তিনিও, বলিউডের বিভিন্ন তারকা মুখ খোলার পর এই যুক্তি একেবারেই উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে কই?
Leave a reply