চকলেট প্রেমীদের নতুন স্বাদের আমেজ দিতে নেসলে কোম্পানি বাজারে ছেড়েছে কিটক্যাট চকোলেটরি সাবলাইম রুবি চকোলেট। গোলাপী রঙের এ চকোলেটগুলো ভোক্তাদের মুখে নিশ্চিত জল এনে দেবে!
শুক্রবার জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার বাজারে এ চকোলেট ছাড়া হয়। তবে, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, ফ্রান্স, এবং সুইস চকোলেট ভক্তদের জন্য অনলাইনে কেনার সুযোগ থাকছে। প্রতিটির দাম পড়বে তিন ডলার ৬০ সেন্ট।
গত সেপ্টেম্বরে প্রথমবারের মতো রুবি চকলেট ভোক্তাদের সামনে প্রদর্শন করা হয়। নেসলে বলছে, এক ধরনের বেরি’র সুগন্ধে ভরপুর গোলাপী রঙের এ চকোলেটগুলো প্রাকৃতিক ‘রুবি কোকোয়া বিনস’ থেকে তৈরি করা হয়েছে।
রুবি স্বাদের এ চকোলেটগুলোর উদ্ভাবক জাপানি পেস্ট্রি রাঁধুনি ইয়াসুমাসা তাকাগি সাবলাইম। তিনি এর আগে বিভিন্ন স্বাদের ডজন ডজন কিটক্যাট চকোলেট উদ্ভাবন করেছেন।
জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ায় কিটক্যাটের বুটিক দোকানগুলোতে নতুন রুবি চকোলেটের বারগুলো পাওয়া যাবে। আসন্ন ভালোবাসা দিবসকে লক্ষ্য করে আরও প্রায় ৮০টি সাময়িক দোকানে চকলেটগুলো বিক্রির পরিকল্পনা করছে নেসলে কোম্পানি।
নতুন চকোলেটের শুভ যাত্রায় জাপান দেশটির জুড়ি মেলা ভার। নতুন স্বাদের কোনো চকোলেট বাজারে আসার সঙ্গে সঙ্গে জাপানিরা হুড়মুড় করে সবাই ছুটে আসেন। ২০০৪ সালে গ্রিন টি স্বাদের চকোলেটের উদ্বোধনী যাত্রা থেকে এমনটি দেখা যাচ্ছে।
বর্তমানে জাপানে তিন শতাধিক স্বাদের কিটক্যাট চকোলেট পাওয়া যায়। এর মধ্যে রয়েছে ওয়াসাবি, চেরি ব্লসম ইত্যাদি। এমনকি কিটক্যাট সুশি স্বাদের চকোলেটও এ দেশটিতে পাওয়া যায়।
জাপানের বাজারে কিটক্যাটের অমন বিশাল সাফল্যে পেছনে স্বাদই একমাত্র কারণ, বিষয়টি কিন্তু এমন নয়। এর সঙ্গে নামটিও (কিটক্যাট) একটি বড় অনুঘটক হিসেবে কাজ করছে। জাপানি ভাষায় ‘কিতো কাতো’ মানে ‘নিশ্চিত বিজয়।’
জাপানের সেরা চকোলেট ব্যান্ড কিটক্যাট। ২০১০ সাল থেকে দেশটিতে এ কোম্পানির বিক্রি বেড়েছে ৫০ শতাংশ। তাই ব্যবসার প্রসার আরও বাড়াতে গত জুলাইয়ে নেসলে কোম্পানি জাপানে কিটক্যাটের নতুন একটি কারখানা চালু করেছে।
যমুনা অনলাইন: এফএইচ
Leave a reply