দিল্লিতে ২২টি ফুটবল মাঠের সমান কোয়ারেন্টাইন সেন্টার

|

ভারতে দ্রুত হারে বাড়ছে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। বড় বিপর্যয়ের শঙ্কা বাড়ছে রাজধানী দিল্লিতে। পরিস্থিতি মোকাবেলায় দ্রুত ১০ হাজার বেডের অস্থায়ী কোভিড-১৯ কেয়ার ফেসিলিটি সেন্টার বানাতে শুরু করেছে রাজ্যের কেজরিওয়াল সরকার। দক্ষিণ দিল্লির রাধাস্বামী আশ্রমে হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় অস্থায়ী কোয়ারেন্টাইন সেন্টার যা আকার-আয়তনে ২২টি ফুটবল মাঠের সমান।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি তাদের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই ফেসিলিটি সেন্টারের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য দিক হল ‘বেড’। কার্ডবোর্ড দিয়ে তৈরি করা হয়েছে বেডগুলো। গবেষকরা বলছেন ধাতু, প্লাস্টিক ও কাঠের ওপর পাঁচদিন পর্যন্ত করোনা জীবিত থাকতে পারে। কিন্তু কার্ডবোর্ডের ওপর এ ভাইরাস ২৪ ঘণ্টার বেশি জীবিত থাকতে পারে না। তাই এটি জীবাণুমুক্ত না করলেও চলবে। ছত্তরপুরের এই সেন্টারের আয়তন সাড়ে ১২ লাখ বর্গফুট, আছে ফ্যান ও সিসিটিভি ক্যামেরা। ৩ লাখ পুণ্যার্থীর সমাগম হয় এখানে।

আশ্রমের কর্মকর্তা বিকাশ শেঠী জানান, সম্প্রতি অভিবাসী শ্রমিকদের আশ্রয় দেয়া হয়েছিল সেখানে। কেন্দ্রীয় সরকারের কোভিড ও স্বাস্থ্যসেবা বিধি মেনে এই সেন্টার তৈরি করা হবে জানান দক্ষিণ দিল্লির ম্যাজিস্ট্রেট বিএম মিশ্র। ৫০০ বেডের ২০টি মিনি হাসপাতাল বানানো হচ্ছে। ১০ শতাংশ অর্থাৎ এক হাজার বেডে অক্সিজেন সরবরাহ করা হবে। তবে থাকছে না কোনো ভেন্টিলেটরের ব্যবস্থা। সংকটাপন্ন রোগীদের জন্য সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের ব্যবস্থা করা হবে এই সেন্টার থেকে।

অন্তত ৪০০ জন চিকিৎসক কাজ করবেন দুই শিফটে, প্রায় দ্বিগুণ স্বাস্থ্যকর্মী তাদের সহায়তা করবেন। ৩০ জুনের মধ্যে এই সেন্টার তৈরির পরিকল্পনা কর্তৃপক্ষের।

দিল্লি সরকারের পূর্বাভাস অনুযায়ী, জুলাইয়ের শেষ দিকে ৫ লাখের বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হবে রাজধানীতে। কোভিড-১৯ রোগীর জন্য প্রায় এক লাখ বেডের প্রয়োজন। সম্প্রতি ট্রেনের ৫০০ কামরা ও হোটেল এবং ব্যাংকোয়েটে করোনা রোগীদের জন্য বেড স্থাপন করার ঘোষণা দিয়েছে সরকার।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply