তিনদিন পার হয়ে গেলেও বলিউড অভিনেতা সুশান্ত সিংহ রাজপুতের আত্মহত্যার কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এছাড়া ময়নাতদন্তের রির্পোট অনুযায়ী, গলায় ফাঁসের কারণে শ্বাসরোধ হয়ে তার মৃত্যু হয়েছে। আবার পেশাগত শত্রুতাও আছে বলে ধারণা মহারাষ্ট্র প্রশাসনের। কারণ ছয় মাসে সাতটি ছবি তার হাতছাড়া হয়েছিল।
অবসাদ না কাজের অভাব আত্মহত্যা করলেন সুশান্ত। এর উত্তর খুঁজতে তার ফ্ল্যাট থেকে পাঁচটি ডায়েরি হেফাজতে নিয়েছে মুম্বাই পুলিশ। যা পড়ে জানার চেষ্টা চলছে, শেষ দিকে কতটা কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিলেন ‘কাই পো চে’ অভিনেতা। সেই সঙ্গে খতিয়ে দেখা সুশান্তের কল লিস্ট। শেষ ১০ দিন অভিনেতা যাদের সঙ্গে কথা বলেছিলেন তাদের তালিকা বের করছে প্রশাসন। খুব শিগগিরিই জিজ্ঞাসাবাদের জন্যে ডাকা হবে তাদের বলে জানা গেছে। যদিও ইতিমধ্যই পুলিশ অভিনেতার শেষ ছবি ‘দিল বেচারা’র পরিচালক মুকেশ ছাবরা, ঘনিষ্ঠ বন্ধু বিকাশ গুপ্তা এবং বাঙালি প্রেমিকা রিয়া চক্রবর্তীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে।
মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে অভিনেতার ভাই এবং পাটনার বিজেপি বিধায়ক নীরজ কুমার সিংহ ইতিমধ্যেই সুশান্তের মৃত্যু আত্মহত্যায় না পেশাগত চাপের বিষয়টি খতিয়ে দেখার আবেদন জানিয়েছেন। এরপরই পুলিশ আরও বেশি তৎপর হয়ে উঠে।
বুধবার অভিনেতার অবসাদের জন্য বলিউডে স্বজনপ্রীতিকে দায়ী করে বিহারের মজফফরপুর জেলা আদালতে বলিউডের তারকা সালমন খান, করন জোহর, একতা কাপুর, সঞ্জয় লীলা বানশালীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন সুধীর কুমার ওঝা নামে এক আইনজীবী।
সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ওই আইনজীবীর দাবি, সুশান্তের কাছ থেকে শুধু সাতটি ছবি কেড়ে নেওয়া হয়েছিল তাই নয়, তার একাধিক ছবি আজও মুক্তি পায়নি। এই সব ঘটনার চাপ দিনের দিনের পর দিন নিতে পারেননি মাত্র ৩৪ বছর বয়সী অভিনেতা। এবং এই ঘটনাগুলোই তাকে আত্মহননের মতো চরম পথ বেছে নিতে বাধ্য করেছে।
একই বিষয় নিতে সম্প্রতি টুইট করেছেন কংগ্রেস নেতা সঞ্জয় নিরুপম। তিনিও একই প্রশ্ন তুলেছেন, সুশান্তের মতো প্রতিভার হাত থেকে কী করে সাতটি ছবি চলে যায়, বলিউডের আসল চেহারা কি এতটাই ভয়াবহ!
সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা
Leave a reply