চীনের সঙ্গে সামরিক উত্তেজনার বিষয়ে ভারতের সর্বদলীয় বৈঠকে আমন্ত্রণ পায়নি দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টি, লালু যাদবের আরজেডি ও আসাদউদ্দিন ওয়াইসির এআইএমআইএম-ও। এ নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে দেশটির রাজনৈতিক অঙ্গনে।
দেশটির পশ্চিমবঙ্গের প্রভাবশালী পত্রিকা আনন্দবাজার পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশের সীমান্তে যখন বিপজ্জনক সংঘাতের পরিস্থিতি, তখন প্রধানমন্ত্রীর সর্বদলীয় বৈঠকে এই দলগুলিকে কেন ডাকা হল না? এখানেও কি রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে চাওয়া হল? এমন প্রশ্ন তোলা শুরু হয়েছে ওই দলগুলির তরফে।
সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, যে মাপকাঠির ভিত্তিতে সর্বদলীয় বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বিভিন্ন দলকে, আরজেডি, আপ বা এআইএমআইএম সেই মাপকাঠিতে উত্তীর্ণ হতে পারছে না। অন্তত ৫টি আসন লোকসভায় থাকলে তাদের আমন্ত্রণ জানানো হতো।
এদিকে ৫টির কম আসন পেয়েও সর্বদলীয় বৈঠকে আমন্ত্রণ পেয়েছে উত্তর-পূর্ব ভারতের দলগুলো। এর কারণ হিসেবে মোদি সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, যেহেতু উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলি ছোট ছোট এবং সংসদে ওই রাজ্যগুলির অধিকাংশেরই আসনসংখ্যা কম, সেহেতু তাদের জন্য জাতীয় দলের তকমা বা লোকসভায় ৫ আসনের মাপকাঠি রাখা হয়নি। উত্তর-পূর্বের সব গুরুত্বপূর্ণ দলকেই বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
এনডিটিভির খবরে বলা হয়, শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৫টায় শুরু হওয়া আলোচিত সর্বদলীয় ওই বৈঠকে উপস্থিত হন কংগ্রেস সভাপতি সোনিয়া গান্ধী, তৃণমূল কংগ্রেসের প্রধান ও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি ও শিবশেনার প্রধান ও মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী যাদব থেকারেসহ দেশটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।
খবরে বলা হয়, গলওয়ান উপত্যকায় ঠিক কী ঘটেছিল, এখন কী পরিস্থিতি সীমান্তের, কী করতে চাইছে সরকার— এই সব বিষয়ই দেশের গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক দলগুলির শীর্ষ নেতৃত্বকে আজকের ওই বৈঠকে আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। জানাবেন প্রধানমন্ত্রী, ধারণা রাজনৈতিক শিবিরের। যে সংঘাত শুরু হয়েছে সীমান্তে, তা নিয়ে ঠিক কী অবস্থান নিতে চলেছে ভারত, সেটা অনেকটাই স্পষ্ট হতে পারে এই বৈঠকের পরে।
Leave a reply