বিশ্ব মহামারী করোনাভাইরাসের সময়ে সবাইকে বের হওয়ার সময় মাস্ক পরতে পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। কিন্তু অনেকেই তা মানছেন আবার অনেকে মানছেন না। আবার দেখা যায়, যারা মানছেন তাদের মধ্যে একাংশ আছেন যারা নিয়ম মেনে মাস্ক পড়ছেন না। বাকিরা কোনরকম মাস্ক পরলেও যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রয়োজন শেষে তা খুলছেন না। চলুন এবার জেনে নেয়া যাক, সংক্রমণের ঝুঁকি কমাতে মাস্ক ব্যবহারের সময় যেসব নিয়ম অনুসরণ করা উচিত-
১. মাস্ক পরা, খোলা বা ধরার আগে ও পরে অবশ্যই সাবান দিয়ে কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড হাত ধুতে হবে।
২. মাস্কের যে অংশ আমাদের মুখের সংস্পর্শে থাকে, সেখানে হাত দেয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। আর বাইরের অংশে কখনো হাত লাগলে হাত ধুয়ে ফেলতে হবে।
৩. করোনাভাইরাস যেহেতু মূলত হাঁচি-কাশির মাধ্যমে ছড়ায়, সেহেতু মাস্ক পরতে হলে অবশ্যই নাক ও মুখ ঢেকে পরতে হবে এবং একদমই তা নাক-মুখ থেকে নামানো যাবে না।
৪. দেখা যায়, মাস্ক পরে বাইরে বের হলেও অন্য ব্যক্তির সাথে কথা বলার সময় হরহামেশাই মাস্কটা খুলে ফেলা হয় বা নাক-মুখের নিচে নামিয়ে ফেলা হয়। এটা আসলে বোকামি ছাড়া কিছু নয়। একটি বিষয় অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে, মাস্ক পরলে অকারণে তা খোলা যাবে না। মানুষের সামনে একদমই না।
৫. বাড়ি থেকে বের হওয়ার আগে মাস্ক একবার পরলে সেটা বাসায় ফেরার আগে খোলা উচিত নয়। এটি হয়তো মেনে চলা সবচেয়ে কঠিন, কিন্তু বিষয়টি খুবই জরুরি। একান্তই খুলতে হলে এমনভাবে খুলে ফেলুন যেন মাস্কের সামনে বা ভেতরে হাত না লাগে। অর্থাৎ মাস্কের শুধু ফিতা ধরে খুলুন। লক্ষ্য করুন, মধ্যবর্তী সময়ে থুতনিতে রাখার জিনিস না এটি। কারণ করোনা আক্রান্ত কারো থেকে জীবাণু আপনার থুতনিতে বা নাকে-মুখে এসে লাগবে না, এমন কোন নিশ্চয়তা নেই।
৬. যে মাস্ক বারবার ব্যবহার করছেন, তা আলাদা করে রাখুন। কাপড়ের মাস্ক হলে বাসায় ফিরে সাবধানে খুলে সাবান-পানিতে চুবিয়ে রাখুন ৫-১০ মিনিট। ডিস্পোজেবল মাস্ক হলে বাসায় এসেই আলাদা বিনে ফেলে দিন। উন্নতমানের মাস্ক যা বারবার ধোয়া সম্ভব না। তা এমনভাবে (কাগজের প্যাকেট, বাক্স, আংটা) আলাদা করে রাখুন, যাতে কোনকিছুর সংস্পর্শে না আসে। প্রতিটি মাস্ক অবশ্যই আলাদা রাখবেন।
৭. একেবারেই মাস্ক ব্যবহার না করা থেকে নাক ও মুখ ঢেকে রাখে এরকম যেকোন রকমের মাস্ক অবশ্যই অধিক সুরক্ষা দেবে- ১% বেশি হলেও দেবে। পাশাপাশি হাত ধোয়া, নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখা- এসব বিধি অবশ্যই মেনে চলতে হবে৷
Leave a reply