ফরিদপুর প্রতিনিধি:
ফরিদপুরে একটি ওষুধের দোকানে ভ্রাম্যমাণ আদালতের জরিমানা করার প্রতিবাদে অনির্দিষ্টকালের জন্য সকল ওষুধের দোকানে ধর্মঘট শুরু হয়েছে। আজ রবিবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে এই ধর্মঘটের সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ কেমিস্ট এন্ড ড্রাগিস্ট সমিতি ফরিদপুর শাখা।
বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ফরিদপুর শহরের পশ্চিম খাবাসপুর এলাকায় মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে হাসিনা ড্রাগ হাউসে অভিযান পরিচালনা করে মালিক আমানুর রহমানকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ আদালতে নেতৃত্ব দেন নির্বাহী হাকিম ও ফরিদপুর সদরের সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহ্ মো. সজিব।
বাংলাদেশ কেমিস্ট এন্ড ড্রাগিস্ট সমিতি ফরিদপুর শাখার সহ-সভাপতি সঞ্জিব কুমার সাহা বলেন, কিছুুদিন আগে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে ওষুধের দোকানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা নিয়ে সমস্যা হয়েছিল। এক নির্বাহী হাকিম ঝুড়িতে রাখা বিভিন্ন কোম্পানির মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ ধ্বংস করে ফেলেন। কেননা নিয়মানুযায়ী মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ ওই ঝুড়িতে রাখা হয়। পরে কোম্পানির প্রতিনিধি এসে তা বদল করে দিয়ে যান। কিন্তু সেগুলি ধ্বংস করায় ওষুধ ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হন।
তিনি বলেন, তখন আমাদের দাবির কারণে জেলা প্রশাসন থেকে বলা হয়েছিল পরবর্তীতে আদালত পরিচালনার সময় জেলা ড্রাগ কর্মকর্তা এবং কেমিস্ট এন্ড ড্রাগিস্ট সমিতির একজন প্রতিনিধি রাখা হবে। সঞ্জিব আরও বলেন, রবিবার বিকেলে এ অভিযানকালে ড্রাগ সুপার ও সমিতির কোনো প্রতিনিধি ছিলেন না। তিনি বলেন, তাই এ হয়রানির প্রতিবাদে আমরা আন্দোলনে গিয়েছি।
নির্বাহী হাকিম ও ফরিদপুর সদরের সহকারি কমিশনার (ভূমি) শাহ্ মো. সজিব বলেন, ড্রাগ হাউসটির মালিক বেশ কয়েকটি অপরাধ করেছেন। তার পৌরসভার ট্রেড লাইসেন্স নেই, তার দোকানে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ পাওয়া গেছে। দোকানে ফ্রিজে ওষুধ ছাড়া অন্য কিছু রাখার বিধান নেই। কিন্তু তার দোকানের ফ্রিজে দুধ, বিস্কুট ও আলুর তরকারি জাতীয় খাবার পাওয়া গেছে। যা আলামত হিসেবে জব্দ করা হয়েছে।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) আরও বলেন, ওই ব্যবসায়ীকে বেশ কয়েকটি ধারায় আরও বেশি জরিমানা করা যেতো। কিন্তু তাকে শুধুমাত্র ভোক্তা অধিকার আইনে জরিমানা করা হয়েছে।
Leave a reply