করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসায় মোট ৩২ রকমের প্রতিষেধক নিয়ে কাজ করছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রায় অর্ধশত প্রতিষ্ঠান। এরমধ্যে দুই প্রকারের ভ্যাকসিন পরীক্ষায় বড় ধরণের সফলতা পেয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন এবং অস্ট্রেলিয়া ভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলো। দ্বিতীয় ধাপের ট্রায়াল শেষ হওয়ার পর তৃতীয় ধাপের জন্য অপেক্ষমান এসব ভ্যাকসিন। ধারণা করা হচ্ছে আগামী বছরের মধ্যেই বাজারে আসবে এসব প্রতিষেধক।
এছাড়া প্রথম দফা ট্রায়ালে সফল হয়েছে আরও পাঁচ ধরনের প্রতিষেধক।
ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রাফায়েল পেরেজ আশা প্রকাশ করে বলেন, যেভাবে কাজ এগিয়ে চলছে তাতে আগামী ১০ মাসের মধ্যে বাজারে আসবে এসব ওষুধ। এরপরই লাখ লাখ ডোজে এসব প্রতিষেধক উৎপাদন করাই হবে প্রধান লক্ষ্য। কারণ নির্দিষ্ট কোনো অঞ্চল নয়, পুরো বিশ্বজুড়েই এই ভ্যাকসিন ছড়িয়ে দিতে হবে।
এছাড়াও আরও পাঁচটি প্রতিষেধকের প্রথম দফায় ট্রায়াল শেষের পর দ্বিতীয় দফার জন্য অপেক্ষমান। এসব ভ্যাকসিনের গবেষণায় মডার্না, ফিজার, বায়োনটেক, উহান ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির মতো প্রতিষ্ঠানগুলো জড়িত।
রাশিয়ার ভোক্তা অধিকার বিষয়ক দফতর প্রধান অ্যানা পপোভা বলেন, প্রতিষেধকের বিষয়ে দুটি ক্ষেত্রে আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি। এক এটার কার্যকারিতা, দুই এটা কতটুকু নিরাপদ। এই দুটি বিষয় নিশ্চিত হলেই আমরা সেই পরীক্ষাকে সফল বলবো।
এছাড়া, বাকি প্রতিষেধকগুলো নিয়ে পরীক্ষা- নিরীক্ষা এবং গবেষণা প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। এর পাশাপাশি থাইল্যান্ডের মতো অনেক দেশই প্রাণীদের ওপর গবেষণা চালাচ্ছে বলে জানা গেছে।
Leave a reply