চীন-ভারত দ্বন্দ্ব: ভারতের অর্থনীতির জন্য আত্মহত্যা

|

ছবি: সংগৃহীত

গত সপ্তাহে ভূখণ্ডে অনুপ্রবেশ নিয়ে চীন-ভারতের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। প্রতিবেশী দেশের মধ্যে চলমান উত্তেজনার মধ্যেই চীনা পণ্য বর্জনের প্রচারণা শুরু করে ভারত। পাশাপাশি চীনা পণ্যে অতিরিক্ত শুল্কারোপ করে দেশটির কর্তৃপক্ষ। নিঃসন্দেহে এগুলো ভারতের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য আত্মহত্যার পথ।

চীনা সংবাদ মাধ্যম গ্লোবাল টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারত মূলত রাজনৈতিক কারণে চীনের সঙ্গে দ্বন্দ্ব করতে চাইছিল।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে ভাইরাস প্রতিরোধের প্রচেষ্টা থেকে কিছুটা চাপ মুক্তি পেতেই ভারত এমনটি করেছে।

ভারতে সোমবার পর্যন্ত ৪ লাখ ১০ হাজার করোনা শনাক্ত নিশ্চিতের পরও ভারত সরকার লকডাউন শিথিলতার দিকে এগোচ্ছে। বলা হচ্ছে, অর্থনীতির এমন পরিস্থিতিতে আর লকডাউন দেয়ার সামর্থ্য ভারতের নেই।

বেইজিংয়ের সংবাদ মাধ্যম বলছে, চীনের সঙ্গে লড়াই দেশটির অর্থনীতির জন্য একটি স্বেচ্ছা ধ্বংসাত্মক কাজ।

বিশ্বমান শৃঙ্খলা অনুযায়ী, ভারত যদি চীনা পণ্য বর্জন করতে চায় তাহলে দেশটির বিভিন্ন ফার্ম ও ভোক্তাদের উচ্চ ব্যয় বহন করতে হবে; এর জন্য ভারতের বেশি বিকল্প থাকবে না। এছাড়া কিছু ভারতীয় শিল্পখাত চীন থেকে সরবরাহের ওপর নির্ভর করে। এসব প্রতিষ্ঠানগুলো চীনের সহযোগিতা ছাড়া পরিচালনা করা সম্ভব নয়।

সংবাদ মাধ্যমটির প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, কয়েক মাস লকডাউনের পর ইতোমধ্যে ভারতের আর্থিক অবস্থায় মারাত্মক ধস নেমেছে। ভারতের সরকারি তথ্যানুসারে, এপ্রিল মাসে আমদানি বছর ভিত্তিতে ৪৮ দশমিক ৩ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে এবং রফতানি বছর ভিত্তিতে ৩৩ দশমিক ৭ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।

এই পরিস্থিতিতে ভারতের পক্ষে উত্তেজনা বাড়ানো অথবা চীনের সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক হ্রাস করা যুক্তিহীন কারণ দু’দেশ একই উচ্চ পর্যায়ের শ্রেণিতে নেই।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply