এক হনুমান মদ না পেয়ে ২৫০ জনকে কামড়ে দিয়েছে। এই কারণে হনুমানটিকে পাঠানো হয়েছে আজীবন কারাবাসে। এই ঘটনা ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের মির্জাপুর জেলায়। খবর সংবাদ প্রতিদিন।
এলাকায় রীতিমতো ভীতি তৈরি হয়েছিল ২৫০ জনকে কামড়ে দেয়ায়। অবশ্য এই ঘটনায় একজন মারাও গেছেন। শেষমেশ হনুমানটির তাণ্ডব ঠেকাতে আজীবন কারাদণ্ডের শাস্তি দেওয়া হয়।
স্থানীয়রা হনুমানটির নাম দেয় কালুয়া। মূলত হনুমানটি এক তান্ত্রিকের পোষা ছিল। তিনি নাকি নিয়মিত হনুমানটিকে মদ খাওয়াতেন। দিনের পর দিন মদ্পান করে রীতিমতো নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছিল কালুয়া। নেশায় বুদ খাকতো কালুয়া। কিন্তু কারো ক্ষতি করতো না। কিন্তু তান্ত্রিকের মৃত্যুর পরই এই চিত্র বদলে যায়। মদ না পেয়ে একেবারে হিংস্র প্রাণীতে পরিণত হয় কালুয়া। তারপর থেকেই লোকজনকে কামড়াতে শুরু করে। এলাকাজুড়ে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়। পরিস্থিতি কার্যত হাতের বাইরে যেতে দেখে এগিয়ে আসে বনদফতর এবং চিড়িয়াখানার কর্মকর্তারা।
অনেক কষ্টে হনুমানটিকে ধরে এনে রাখা হয় কানপুর চিড়িয়াখানার খাঁচার ভিতর। ঠিক হয় খাঁচা-বন্দি অবস্থাতেই তাকে সুস্থ করার চেষ্টা করা হবে। কিন্তু কালুয়া বদলাল না।
চিড়িয়াখানার চিকিৎসক মোঃ নাসির বলেন, কয়েক মাস ধরে কালুয়াকে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। কিন্তু স্বভাবে কোনও বদল আসেনি। আগের মতোই হিংস্র। ওর আচরণে কোনও পরিবর্তন না হওয়ায় আমরা ঠিক করেছি, সারাজীবন ওকে গারদেই রেখে দেবো।
Leave a reply