জুয়াড়ির কাছ থেকে পাওয়া প্রস্তাব গোপন করায় আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ বাংলাদেশের ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় বিজ্ঞাপন সাকিব আল হাসান। দুই বছরের নিষেধাজ্ঞা জুটলেও শর্তসাপেক্ষে এক বছরের সাজা স্থগিত করেছে আইসিসির দুর্নীতি দমন ইউনিট। সাকিব মনে করেন বিষয়টাকে হালকাভাবে নিয়েছিলেন তিনি। একারণে ৫ থেকে ১০ বছরের জন্য নিষিদ্ধ হতে পারতেন।
বুধবার ক্রিকেট বিষয়ক ওয়েবসাইট ক্রিকবাজে ভারতীয় ধারাভাষ্যকার হার্শা ভোগলেকে দেয়া সাক্ষাৎকারে সাকিব জানিয়েছেন, পুরো বিষয়টাকে খুবই হালকাভাবে নিয়েছিলেন তিনি।
তিনি বলেন, যখন আমি দুর্নীতি দমন ইউনিটের ব্যক্তির সাথে দেখা করলাম এবং তাদের বললাম সব কিছু, তখন তারা বলল, যা ঘটেছে তার সব কিছু জানে তারা। সব কিছুর প্রমাণ তাদের কাছে আছে। সত্যি কথা বলতে কি, এই কারণেই আমাকে এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে, নইলে হয়তো পাঁচ বা দশ বছরের জন্য নিষিদ্ধ হতে হতো।
নিজের ভুল স্বীকার করে সাকিব বলেন, আমি মনে করি এটি নির্বোধের মতো ভুল ছিল। আমার অভিজ্ঞতা, আমি যে পরিমাণ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছি এবং আইসিসির অ্যান্টিকরাপশন কোড বিষয়ে যে পরিমাণ ক্লাস করেছি, তাতে আমার ওই ব্যাপারে রিপোর্ট না করাটা ভুল ছিল। এর জন্য আমি দুঃখিত। এবং আমি মনে করি যে এই ধরনের বার্তা বা কলগুলি (বুকিদের কাছ থেকে) পেয়ে তা হালকাভাবে নেওয়া বা এড়িয়ে যাওয়া উচিত নয়। নিরাপদে থাকার জন্য অবশ্যই দুর্নীতি দমন কর্তাদের জানানো উচিত। এটা আমার জন্য বড় একটা শিক্ষা।
Leave a reply