ষ্টাফ রিপোটার:
সিরাজগঞ্জের কামারখন্দে স্বামীর অমানবিক নির্যাতন সইতে না পেরে অ্যাসিডিটির (গ্যাস) ট্যাবলেট খেয়ে আত্মহত্যা করেছে আলেয়া বেগম নামে এক গৃহবধূ।
আলেয়া উপজেলার বিয়াড়া গ্রামের ভ্যানচালক ভুট্টুর দ্বিতীয় স্ত্রী। শনিবার দুপুরে বিয়াড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। গৃহবধূ আলেয়া মৃত্যুর খবরে তার পরিবারের সদস্যরা বাড়ি ও হাসপাতাল থেকে আত্মগোপনে চলে যায়।
স্থানীয়রা জানায়, প্রায় ২০ বছর আগে সদর উপজেলার ধুকুরিয়া গ্রামের বাসিন্দা আলেয়ার সাথে বিয়ে হয় কামারখন্দ উপজেলার বিয়াড়া গ্রামের বাসিন্দা ভ্যানচালক ভুট্টুর। বিয়ের পর থেকেই আলেয়াকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করতে থাকে তার স্বামী। বিয়ের ৩/৪ বছরেও ভুট্টুর স্ত্রী সন্তান ধারণ করতে না পারায় স্ত্রীকে তালাক দেন ভুট্টু। পরে সামাজিক শালিসের মাধ্যমে তাদের আবারও বিয়ে দেয়া হয়।
কয়েক বছর পর এক কন্যা সন্তানের জন্ম দেন স্ত্রী আলেয়া। প্রথম সন্তান জন্মের ৫ বছর পর জন্ম হয় আরেক পুত্র সন্তানের। স্ত্রী আলেয়া থাকার পরও পাশের গ্রাম নান্দিনা কামালিয়ার এক নারীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে আলেয়ার স্বামী ভুট্টু। প্রেমের সম্পর্ক শেষ পর্যন্ত গড়ায় বিয়েতে। দ্বিতীয় বিবাহ করার পর দ্বিতীয় স্ত্রীর পরামর্শে আলেয়ার উপর আরও অমানবিক নির্যাতন চালায় ভুট্টু।
সবশেষ স্বামীর অসহনীয় নির্যাতন সইতে না পেরে গ্যাসের ট্যাবলেট খেয়ে আত্মহত্যা করে দুই সন্তানের জননী গৃহবধূ আলেয়া।
সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক ডা. ফয়সাল আহম্মেদ জানান, সকাল ১১টায় আলেয়াকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বেলা ১২ দিকে তিনি মারা যান। গৃহবধূ আলেয়ার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।
কামারখন্দ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) পলাশ চন্দ্র দেব জানান, এ ঘটনায় আমাদের কাছে কেউ অভিযোগ দায়ের করেনি। অভিযোগ দিলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Leave a reply