লালমনিরহাটে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, ডুবে গেছে ফসলি জমি

|

লালমনিরহাট প্রতিনিধি:

টানা বর্ষণ ও ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে লালমনিরহাটের তিস্তা ব্যারেজের ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি আজ সকাল থেকে ১৫ সেন্টিমিটার ও ধরলা নদীর পানি ১২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় হাতীবান্ধা উপজেলার দোয়ানীতে অবস্থিত দেশের সর্ব বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি গেট খুলে দিয়ে পানি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ড।

তিস্তা ব্যারাজ কন্ট্রোল রুম সূত্র জানায়, গত শুক্রবার গভীর রাত থেকে তিস্তা নদীর পানি বাড়তে থাকে। এদিকে নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ব্যারেজের ভাটিতে থাকা লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা, কালীগঞ্জ, আদিতমারী ও সদর উপজেলার নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের ১৫টি গ্রামের ৩৫ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এছাড়া ধরলার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় সদর উপজেলার কুলাঘাট, মোগলহাট ও আদিতমারী উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলগুলো তলিয়ে গিয়ে পানিবন্দি হয়েছে। তিন ইউনিয়নের হাজারো বাড়িঘরসহ তলিয়ে গেছে ধান, ভুট্টা, বাদাম, সবজিসহ বিভিন্ন ধরনের ফসলের ক্ষেত। এদিকে তিস্তার পানি বাড়ায় দেখা দিয়েছে ভাঙ্গন। দুদিনে গোকুন্ডা ইউনিয়নের চর গোকুন্ডায় অর্ধশত বাড়িঘর, ফসলী ক্ষেত ও গাছপালা নদীগর্ভে চলে গেছে।

জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, বন্যাকবলিত মানুষজনের মাঝে ইতোমধ্যে ৮০ মেট্রিকটন চাল ও ৬ লাখ ২৫ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে এবং বিতরণের কাজ চলমান রয়েছে। ত্রাণ পর্যাপ্ত রয়েছে বলে জেলা প্রশাসক আবু জাফর জানান।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply